দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে তাঁরই ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উলুহিয়্যাত এর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা মুলতঃ শিরকমুক্ত বিশ্বাস ও রিয়ামুক্ত আমলের মাঝেই নিহিত। যে সকল বান্দাহ শিরক বেদআত বর্জন করে সকল ইবাদাত সুন্নাহ মাফিক নিয়মে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করে সে ব্যক্তি ‘সিরাতে মুস্তাকীমে’র ভাগ্যবান ব্যক্তি। সিরাতে মুস্তাকীম হলো, আখেরাতে মুক্তির একমাত্র উপায়, ইহজগতে জীবন যাপনের সর্বোত্তম পথপদ্ধতি। দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বাধিক কল্যাণ লাভের একমাত্র সঠিক পথ হলো এটি। সিরাতে মুস্তাকীম শব্দটি আরবী পারিভাষিক শব্দ এর অর্থ হলো, সরল পথ বা সঠিক পথ। অর্থ্যাৎ ্ এমন অনুসরনযোগ্য পথপদ্ধতি যাতে কোন রকম বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ির সুযোগ নেই, যে পথ ধর্ম পালনকারীকে নিশ্চিন্তভাবে সুচারুরূপে ইখলাসের সাথে যাবতীয় ইবাদাত সম্পাদনে উৎসাহিত করার সাথে সকল আবশ্যিক দায়িত্ব পূর্ণরূপে আদায় করতে উৎসাহিত করে। মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, ‘ভয় ও আশার সাথে একনিষ্ঠভাবে সকল ইবাদাত পালন পূর্বক হক্বের উপর আজীবন অটল থাকাই হলো সিরাতে মুস্তাকীম। তাঁরা আরো বলেন, ‘সিরাতে মুস্তাকীম’ হলো, আল্লাহপাকের এমন পছন্দনীয় পথ যে পথে তিনি তাঁর প্রিয় লোকদের পরিচালিত করেন, আর আল্লাহর প্রিয় বান্দাহগণ তাঁরই নির্দেশিত সকল বিধানকে একনিষ্ঠভাবে সযতেœ পালন করে দুনিয়াবী কল্যাণ লাভ করার পাশাপাশি আখেরাতের মুক্তির পথকে সুগম করেন। মোটকথা সিরাতে মুস্তাকীম হলো, মহান আল্লাহপাকের সেই পথ, যে পথে তিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত ভাগ্যবান লোকদের পরিচালিত করেন।
সিরাতে মুস্তাকীমের স্বরূপঃ পবিত্র কুরআন মাজীদে ৪৫ জায়গায় সিরাতে মুস্তাকীম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সিরাতে মুস্তাকীম হলো এমন পথ যে পথে কোন বক্রতা নেই, তা এতই মসৃন ও সোজা যে, তা মানুষকে সরাসরি আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে পৌঁছায়। যে পথের সন্ধানদাতা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, তিনিই যাকে চান তাঁকে এপথে পরিচালিত করেন, তাঁকে দুনিয়ার সকল প্রকার মোহ হতে মুক্ত রেখে নেক আমল এর মাধ্যমে জান্নাতের সম্মানিত স্থানে পৌঁছান। পৃথিবীর সকল মানুষকেই পুলসিরাত পাড়ি দিয়ে হবে সিরাতে মুস্তাকীমের পথ ধরেই। ভাগ্যবান ইমানদার মুত্তাকীরাই কেবল সেই পথে অটল থেকে পুলসিরাত পার হতে পারবে। দুর্ভাগা ও মন্দ কপালের লোকজন উক্ত সিরাত থেকে ছিটকে জাহান্নামের মহাউত্তপ্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হবে। সিরাতে মুস্তাকীমের স্বরূপ বর্ণনায় আল্লাহপাক রাব্বুল ইজ্জাত সুরায়ে ফতেহায় ইরশাদ করেন, যা প্রতিটি মুমিন মুসলমান দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায, ওয়াজিব নামায, সুন্নাত নামায, নফল নামাযে নিয়মিত পড়েন, ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম, সিরাতাল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম... অর্থ্যাৎ হে প্রভূ আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়। (সুরা ফাতিহা: আয়াত: ৬-৭)।
সিরাতে মুস্তাকীম, এই পথটি হচ্ছে দ্বীন ইসলামের পথ, যা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত রাসূল প্রেরণ করেছেন, যার জন্যেই সমস্ত কিতাব নাযিল করেছেন, যে দ্বীন ব্যতীত আল্লাহ্ অন্য কোন দ্বীন কবুল করবেন না, যে দ্বীনের পথে না চললে কেউ নাজাত পাবে না। যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য পথে চলবে, সে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে এবং বিপদগামী হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটিই আমার সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এই সঠিক পথের অনুসরণ কর। অন্যান্য পথের দিকে গমণ করো না। তাহলে সে সব পথ তোমাদেরকে আল্লাহর সঠিক পথ হতে বিপদগামী করে দিবে। (সূরা আনআমঃ ১৫৩)।
পবিত্র কুরআনের বর্ণনায় সিরাতে মুস্তাকীমঃ সিরাতে মুস্তাকীম হলো হেদায়েতের আলোকের সে পথ যে পথের পথচলার সুচনা দুনিয়া হতে আরম্ভ হয়ে জান্নাতে গিয়ে শেষ হয়। কিয়ামত পরবর্তী সময়ে পুলসিরাত পারাপারের ঐতিহাসিক সেতুর উভয় প্রান্ত এবং ঐ সেতুর ধারালো অংশও সিরাতে মুস্তাকীমের অর্ন্তভূক্ত। খাঁটি ইমানদারগণ সিরাতে মুস্তাকীমে নির্বিঘ্নে চলাচল পূর্বক পুলসিরাতের আলোচিত সেতুটি দ্রুতভাবে পার হবেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, ‘যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে বলা হবেঃ আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য। যেদিন কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারীরা মুমিনদেরকে বলবেঃ তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা কর, আমরাও কিছু আলো নিব তোমাদের জ্যোতি থেকে। বলা হবেঃ তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ কর। অতঃপর উভয় দলের মাঝখানে খাড়া করা হবে একটি প্রাচীর, যার একটি দরজা হবে। তার অভ্যন্তরে থাকবে রহমত এবং বাইরে থাকবে আযাব। তারা মুমিনদেরকে ডেকে বলবেঃ আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? তারা বলবেঃ হ্যাঁ কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ। প্রতীক্ষা করেছ, সন্দেহ পোষণ করেছ এবং অলীক আশার পেছনে বিভ্রান্ত হয়েছ, অবশেষে আল্লাহর আদেশ পৌঁছেছে। এই সবই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত করেছে। অতএব, আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপন গ্রহণ করা হবে না। এবং কাফেরদের কাছ থেকেও নয়। তোমাদের সবার আবাস্থল জাহান্নাম। সেটাই তোমাদের সঙ্গী। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তন স্থল। (সুরা হাদীদ: আয়াত: ১২-১৫)। আল্লাহপাক আরো বলেন, ‘মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা কর আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (সুরা তাহরীম: আয়াত: ০৮)।
হাদীসের বর্ণনায় সিরাতে মুস্তাকীমের চিত্রঃ সিরাতে মুস্তাকীম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদিস বর্ণিত রয়েছে। প্রখ্যাত হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আয়াতের ব্যাখ্যা অতি সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সামনে মাটিতে একটি রেখা টানলেন। সে রেখার উপর হাত রেখে বললেন, এটি হল আল্লাহর পথ। অতঃপর সে রেখার ডানে ও বামে আরো অনেক গুলো রেখা অঙ্কন করে বললেন, এ সবগুলোই পথ। তবে এ সব পথের মাথায় একটি করে শয়তান দাঁড়িয়ে আছে। সে সদাসর্বদা মানুষকে ঐ পথের দিকে আহবান করছে। একথা বলার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেনঃ ‘এটিই আমার সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এই সঠিক পথের অনুসরণ কর। অন্যান্য পথের অনুসরণ করনা। তাহলে সে সব পথ তোমাদেরকে আল্লাহর সঠিক পথ হতে বিপদগামী করে দিবে’। (সূরা আনআম: আয়াত: ১৫৩)। (সুনানে তিরমিযি: হাদিস নং: ২৪৫৪)।
অন্য এক হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তায়ালা ‘সীরাতে মুস্তাকীম’ তথা সঠিক পথের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। মনে করুন একটি সোজা পথ। পথের উভয় পাশে রয়েছে দু’টি প্রাচীর। পথের দুই পাশের প্রাচীরের দরজাগুলো খোলা রয়েছে। দরজাগুলোর উপর পর্দা ঝুলন্ত আছে। সোজা রাস্তার দরজার মুখে একজন আহবানকারী ডেকে বলছে, হে লোক সকল! তোমরা সকলেই সোজা পথে প্রবেশ কর। এদিক সেদিক যেয়ো না। আর একজন আহবানকারী রাস্তার উপর থেকে আহবান করছে। কোন মানুষ যখন দুই পাশের প্রাচীরের দরজাগুলোর কোন একটি দরজা খুলতে চায়, তখন সেই আহবানকারী ডেকে বলতে থাকেঃ অমঙ্গল হোক তোমার! দরজা খুলো না। কেননা তুমি যখন উহা খুলবে তখন তাতে প্রবেশ করবে। উপরোক্ত উপমার মধ্যে সোজা পথটি ইসলাম। প্রাচীর দু’টি হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। উন্মুক্ত দরজাগুলো হচ্ছে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ। রাস্তার মাথায় আহবানকারীটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। রাস্তার উপরের আহবানকারীটি হচ্ছে, আল্লাহর পক্ষ হতে একজন নসীহতকারী, যা প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে বিদ্যমান।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়ালাহু আনহু বর্ণনা করেন পুলসিরাত সম্পর্কে আলাহর দিদার ও সিরাতের বর্ণানায় এসেছে- ‘অতপর পুলসিরাতকে এনে জাহান্নামের উপরে রাখা হবে। আমরা বললাম, ‘হে আলাহর রাসুল! পুলসিরাত কি? তিনি বললেন, (পুলসিরাত) বড় পিচ্ছিল হবে; তার উপর আঁকশি ও আঁকড়া থাকবে। আরো থাকবে প্রশস্ত কাঁটালো যার কাঁটাগুলো হবে বাঁকানো। এ ধরণের গাছ নাজদ এলাকায় হয় যাকে ‘সাদান’ তথা কাঁটাদার গাছ বলা হয়। মুমিন তার (পুলসিরাতের) উপর দিয়ে চোখের পলকে, বিদ্যুতের ন্যায়, বাতাসের মত ও উন্নত মানের দ্রুততগামী ঘোড়ার মতো দৌড়ে পার হয়ে যাবে। কিছু নিরাপদে নাজাতপ্রাপ্ত হবে আবার কেউ আঁচড় খেয়ে নাজাত পাবে। আর কেউ খামচি খেয়ে জান্নামে পতিত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সিরাতে মুস্তাকীম ও পুলসিরাতঃ সিরাতে মুস্তাকীম ও পুলসিরাত এক ও অভিন্ন পথ পরিক্রমা। পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহর রাস্তায় যথাযথ আমলের মাধ্যমে সিরাতে মুস্তাকীমে চলাচল শুরু হয় আর পুলসিরাতের পারাপারের মধ্য দিয়ে জান্নাতে পৌঁছার মাধ্যমে সিরাতে মুস্তাকীম এর পথচলা শেষ হয়। সিরাতে মুস্তাকীমে অবস্থিত পুলসিরাত সম্পর্কে বিখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ইমাম গাজালি রাহমাতুলাহি আলাইহি বলেন, ‘পুলসিরাত হলো জাহান্নামের ওপর প্রলম্বিত সেতু, যা তলোয়ারের চেয়ে ধারালো হবে এবং চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম হবে। কাফির ও পাপাচারীরা সেখানে পদস্খলিত হয়ে নিচে পতিত হবে। সেখানে জাহান্নাম অবস্থিত থাকবে। আর মহান আলাহ ঈমানদারদের পা সুদৃঢ় রাখবেন। ফলে তারা চিরস্থায়ী নিবাসে পৌঁছে যাবে।’ (কাওয়াইদুল আকায়িদ)
ইমাম আশআরি রাহমাতুলাহি আলাইহি বলেন, ‘পুলসিরাত হলো জাহান্নামের ওপর স্থাপন করা দীর্ঘ সেতু। মানুষ তার আমল অনুযায়ী তা পার হবে। মানুষের আমলভেদে পুলসিরাত পার হওয়ার সময় চলার গতির ক্ষেত্রেও তারতম্য হবে।’ (রিসালাতুন ইলা আহলিস সাগার)
পুলসিরাত অতিক্রম করা সম্পর্কে রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘সেদিন কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউ ঘোড়ার গতিতে, কেউ আরোহীর গতিতে, কেউ দৌড়িয়ে, আবার কেউ হাঁটার গতিতে (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে।’ (তিরমিজি, দারেমি) উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘জাহান্নামের ওপর একটি পুল আছে, যা চুলের চেয়েও বেশি চিকন আর তরবারির চেয়েও বেশি ধারালো। এর ওপর লোহার শিকল ও কাঁটা থাকবে। মানুষ এর ওপর দিয়েই গমন করবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ বায়ুবেগে আর কেউ উত্তম ঘোড়া ও উটের গতিতে পুলসিরাত পার হবে। আর ফেরেশতারা বলতে থাকবে, হে প্রভু! সহিসালামতে অতিক্রম করাও, হে প্রভু! নিরাপদে পার করাও। কেউ নাজাত পাবে, কেউ আহত হবে, কেউ উপুড় হয়ে পড়ে যাবে আর কেউ অধঃমুখী হয়ে জাহান্নামে পড়ে যাবে।’ (মুসনাদে ইমাম আহমদ : ২৪৮৪৭)।
পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দুনিয়াতে সিরাতে মুস্তাকীমের পথে পথ চলে আখেরাতে জান্নাতের কাঙ্খিত মঞ্জিল জান্নাতুল ফেরদাউস হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখকঃ মোঃ আবদুল গনী শিব্বীর, মুহাদ্দিস, নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা, সোনাপুর, সদর, নোয়াখালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।