পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। শুধু রাজধানী ঢাকায় শিক্ষার্থীদের তিন শর্তে বাসে হাফ ভাড়ার সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ থেকে বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর হবে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাফ ভাড়া কার্যকর থাকবে। হাফ ভাড়া প্রদানের সময় স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটি এবং অন্যান্য ছুটির দিনে এ সুবিধা থাকবে না। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা বলেছেন, ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। শিক্ষার্থীরা দেশের ৮ সিটি কর্পোরেশনেই হাফ পাস কার্যকর চায়।
গতকাল বিআরটিএতে সরকারের সঙ্গে বাস মালিকদের বৈঠকের পর পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে এই ঘোষণা দেয়ার পর টেলিভিশনগুলোতে এ খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে এ শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তাদের বক্তব্য চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলো কী বাংলাদেশের বাইরে? ঢাকার শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া সুবিধা পেলে অন্য শহরের শিক্ষার্থীরা পাবেন না কেন? হাফ ভাড়ার সময়সীমা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাছাড়া রাত ৮টার পর শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষার জন্য বাইরে থাকতে হয় না? সে সময় কেন তারা হাফ ভাড়ার সুযোগ পাবেন না? যদিও শিক্ষার্থীরা গতকাল রাজপথ থেকে উঠে যাওয়ার সময় ঘোষণা দিয়েছেন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা কি দেশের নাগরিক নন? ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা নানাভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তাদের অভিযোগ এমনিতে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা নানা বৈষম্যের শিকার। বাস মালিক সমিতির এ সিদ্ধান্ত তাদের বৈষম্যের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বরং আর্থিকভাবে দুর্বল মফস্বলের শিক্ষার্থীদের জন্যই এ সুযোগ বেশি প্রয়োজন। এই শর্তের কারণে একটি ভালো সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ল। নাকি ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জন্য উস্কে দেয়া হলো?
৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এখনো রাজপথ ছাড়েননি। বাসের চাকায় পিষ্ট সহপাঠী বন্ধু, ভাই হারিয়ে বিক্ষুব্ধ তারা। ৯ দফা দাবি তাদের। তারা চায় ‘নিরাপদ সড়ক’। হাফ ভাড়ার দাবিটিও গত কয়েক দিনে জোরদার হয়েছে। এ নিয়ে বাস মালিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়েছে দফায় দফায়। গতকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তার ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার থেকেই শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর এলাকায় হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাফ ভাড়া কার্যকর থাকবে। হাফ ভাড়া প্রদানের সময় স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটি এবং অন্যান্য ছুটির সময় ছাত্রদের হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ঢাকা মেট্রো এলাকায় কার্যকর থাকবে। কোনোভাবেই ঢাকার বাইরে কার্যকর হবে না। বাসে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে ছাত্রদের যে দাবি ছিল, সে বিষয় নিয়ে গত কয়েক দিনে আমরা দফায় দফায় সভা করেছি। বিআরটিএর সঙ্গে আমরা দু’টি সভায় মিলিত হয়েছি। ঢাকার ১২০টি পরিবহন কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যান এবং ঢাকার ৫টি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি এবং ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে আমরা দীর্ঘক্ষণ সভা করেছি। সব কিছু আলাপ করে আমরা স্থির করেছি, ছাত্রদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কার্যকর করা হবে। পয়লা ডিসেম্বর থেকে ছাত্ররা যেন হাফ ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাস মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাব। ছাত্রদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা যেন এখন থেকে পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়। রাস্তায় আন্দোলন না করে স্কুল-কলেজে ফেরত যায়।
সরকারের কাছ থেকে মালিক পক্ষ্যের ভর্তুকির দাবি প্রসঙ্গে বাস মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক, ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ গরিব মালিক। অনেক মালিক আছেন যার একটি মাত্র গাড়ি, সেটা দিয়ে তার সংসার চলে এবং ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে হয়। ঢাকা শহরে প্রচুর মালিক আছে যারা চালক থেকে মালিক হয়েছেন। তাই সরকার এদের বিষয়টি বিবেচনা করবে এটা আমরা আশা করি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। সারা দেশে ১ লাখ বাসের মধ্যে ঢাকা ছাড়া অন্যান্য শহরে ভাড়া নিয়ন্ত্রিত। ঢাকাতে কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের মালিক-শ্রমিকদের ৯টি টিম প্রতিদিন রাস্তায় কাজ করছে। চালকদের অনেক সমস্যা আছে। যেসব অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিআরটির’র সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। কিছু কিছু গাড়ি আছে কন্ট্রাক্ট সিস্টেমে চলে। সেগুলো আমরা অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে এসেছি। বাকি যেগুলো নিয়মে আনা যায়নি আমরা আশা করি এক সময় এটা আমরা নিয়মে আনতে পারব।
সারাদেশে হাফ ভাড়া দাবি : শুধু ঢাকা মহানগরীতে হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ৯ দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইনজামুল হকের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা জানান, সেখানে গণপরিবহনে হাফ ভাড়াসহ ৯ দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা করলেও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত বা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও রামপুরা, মিরপুর রোডের রাফা প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা পথ অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সারাদেশেই হাফ ভাড়াসহ ৯ দফার বাস্তবায়ন চান শিক্ষার্থীরা। হাফ ভাড়াসহ ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর বিআরটিএ ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান গ্রহণ করেন। ইনজামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেননি। এ কারণে বুধবার সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এখন রাতেও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে। ফলে এ সময় আরো বাড়াতে হবে। ৩৬৫ দিন হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া জুয়েল মিয়া বলেন, সব মহানগরীতে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে। বাসে নারী যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম আপন বলেন, গত ৭ নভেম্বর থেকে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হলে ৮ নভেম্বর থেকেই রাস্তায় হাফ ভাড়ার দাবিতে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। এখনো আন্দোলন চলছে। গত ১১ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে বনানী বিআরটিএ ভবনে স্মারকলিপি দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে, সময় নিয়েছে। স্মারকলিপি জমা দেয়ার ঠিক ১১ দিন পর আবার বিআরটিএ ভবনে এসেছি। তারা মিটিং করেও আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ২৯ নভেম্বর রাতে রামপুরায় কলেজছাত্র মাইনুদ্দিনকে বাসের চাকায় পিষ্ট করার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ঘোষণা দিলেন শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরের মধ্যে। কিন্তু ঢাকা মহানগরের বাইরের শিক্ষার্থীদের কী হবে? তারা কি পড়ালেখা করে না? যদি হাফ ভাড়া দিতে হয় একযোগে সারাদেশে দিতে হবে। শুধুমাত্র মুখের কথায় হবে না। আইন করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর বিকেল সোয়া ৬টার দিকে বিআরটিএর সামনে থেকে ঘরে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। তার আগে তারা জানিয়েছেন, ৯ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত টানা আন্দোলন-কর্মসূচি চলবে।
৯ দফা দাবি : ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘ছাত্ররা মরবে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছে সেই দাবিগুলো হলো- ১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২. ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেলপথ ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। ৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাথ, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। ৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। ৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। ৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে। ৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকান্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিষয়টিকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।