Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনিবন্ধিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন তদন্তে বিশেষ কমিটি

প্রতিবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

 নিবন্ধন এবং অনুমোদনবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের অবৈধ লেনদেন তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এর মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম ও ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুনীর আহমেদ চৌধুরীকে বিশেষ এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এর আগে কমিটি গঠন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার নভেম্বর বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি জাকির হোসেনের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অনুমোদনহীন সুদ কারবারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাÐের বিষয়ে তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেন আদালত। তদন্ত কালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়।

এছাড়া চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেন আদালত। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিট করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়াজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া চড়া সুদে অনানুষ্ঠানিকভাবে মহাজনদের ঋণ দেয়া রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহিভর্‚ত ঘোষণা এবং সারা দেশে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়। আবেদনে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিবেদন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ