পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাসপোর্ট অধিদফতরের আলোচিত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে ‘কত সম্পদ পাসপোর্ট পরিচালক তৌফিকের!’ শীর্ষক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে তৌফিকের নামে ঢাকায় ৮টি ফ্ল্যাট, ৭টি প্লট ও বিপুল নগদ অর্থের তথ্য তুলে ধরা হয়। চাকরিজীবনের দেড় দশকে তিনি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন- মর্মে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছেÑ মর্মে নিশ্চিত হয়ে তার সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়। নোটিশ জারির পর ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পাসপোর্ট অধিদফতরের এই পরিচালক কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। নিজ নামে ৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন।
উল্লেখিত সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। আয়কর নথি দেখে তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৭ টাকা। এক্ষেত্রে পারিবারিক ব্যয়সহ তার সর্বমোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ৮১১ টাকা।
দায়-দেনা বাদ দিয়ে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮১১ টাকা। অপরদিকে দুদক অনুসন্ধানে তার আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৮ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায় ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৩ টাকা। এই টাকার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তার নিজ নামে অর্জন করে তা দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বর্তমানে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।