পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ায় সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করেই প্রয়োজনীয় খরচ মেটাচ্ছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ নেয়ার কথা ছিল, পাঁচ মাসেই তার ৭৫ শতাংশের বেশি নিয়ে ফেলেছে সরকার। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটানো হবে। এর মধ্যে নভেম্বরের মধ্যেই সরকার ১১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা ধার নিয়ে ফেলেছে। অবশ্য এ চিত্র একেবারে নতুন নয়। আগের অর্থবছরের বাজেটে সরকার যেখানে সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ করবে ভেবেছিল, বছর শেষে তা ২৮ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকায় ঠেকে। সুদের হার কয়েক দফা কমানো হয়েছে এবং আরও কমতে পারে ভেবে গত কিছুদিনে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, ভবিষ্যৎ ঋণের বোঝা কমাতে গত বছরের মে মাসে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়। এরপরও এ খাতে বিনিয়োগ কমেনি; উল্টো বেড়েছে। আরেক দফা কমানো হতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার, অর্থমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে কারণে যাদের কাছে টাকা আছে তারা একটু বেশি লাভের আশায় আগেভাগেই সঞ্চয়পত্র কিনে রাখছেন। পাঁচ বছর মেয়াদি এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনলে আগে মাসে এক হাজার ৭০ টাকা মুনাফা পাওয়া যেত, সুদের হার কমানোর পর এখন পাওয়া যাচ্ছে ৯১২ টাকা। এরপরও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি খুব একটা কমেনি। বিনিয়োগের জন্য সাধারণে মানুষ এখনও সবচেয়ে নিরাপদ এ খাতকেই বেছে নিচ্ছেন। সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মোট ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। ২৩শে মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ কমানোর পর তা ৩ হাজার ৯০৭ কোটি টাকায় নেমে আসে। এরপর কয়েক দফা ওঠানামা হলেও গত নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মনে করে, ক্রমাগত বিক্রি বাড়ায় ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়েছে। কিন্তু এখনও যেহেতু ব্যাংকের আমানতের চেয়ে এর সুদ হার বেশি, সে কারণে বিক্রি কমছে না। এছাড়া পুঁজিবাজার মন্দা যাওয়ায় সেদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে এখন সবাই সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ২৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। তার আগের দুই অর্থবছর যথাক্রমে ১১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং ৭৭৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। প্রতিদিন যে টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় তা থেকে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকেই নিট বিক্রি বলে হিসাব করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।