বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনায় নিজ কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের ভাবী (বড় ভাইর স্ত্রী) রাশেদা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
দণ্ডিত সাইফুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামের মাওলানা মোঃ ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদাণ করেন বরগুনার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান। রায়ে দণ্ডিত শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুরে গাইড দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় ডেকে নেন শিক্ষক সাইফুল। পরে মাদ্রাসার কাছেই নিজ বাড়ির দোতলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এর ফলে ছাত্রীটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখেই পালিয়ে যান সাইফুল।
পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা। পরে অবস্থার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে।
এ ঘটনার দিন বিকেলে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে প্রধান অভিযুক্ত করে দুই জনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা। পরে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এ বিষয়ে আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা এ রায়ে খুশি। এমন রায়ের জন্য ভবিষ্যতে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকবে খারাপ মানুষগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।