Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

পড়তে পারেন ইবির আল- ফিকহ বিভাগে

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ২:০৪ পিএম

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মানুষের ইসলামী চিন্তা-চেতনাকে বিকশিত করার জন্য একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির স্বপ্ন ছিল তৎকালীন রাষ্ট্র পরিচালকদের। তাদেরই আন্দোলনের ফসল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারী যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির।

দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগ নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাপ্তি ঘটেছে। বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ৩২টি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম চলছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে। ইসলামী ও প্রচলিত আইনের সমন্বয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে আইন ও শরিয়াহ অনুষদের অধীনে আল-ফিক্হ বিভাগ নামে নতুন একটি বিভাগ খোলে। দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম পাটওয়ারীকে সভাপতি করে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে বিভাগটিতে ৮ জন শিক্ষক এবং ৬টি ব্যাচ আছে। শিক্ষক সংকটের কারণে বিভাগটিতে প্রথমদিকে কিছুটা সেশনজট থাকলেও বর্তমানে সকল শিক্ষকদের আন্তরিকতায় বিভাগটি সেশনজটের কলঙ্ক অধ্যায় থেকে মুক্ত হয়।

আল-ফিক্হ এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিভাগ যেখানে একসাথে ইসলামী আইন ও প্রচলিত আইন (জেনারেল ‘ল’) পড়ানো হয়। দুটি আইনের সমন্বয়ে বিভাগটির সিলেবাস প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসলামী আইনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (মালয়েশিয়া), আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় (মিসর) ও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় (সৌদিআরব)-এর সিলেবাসভুক্ত বই এবং প্রচলিত আইনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যসকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসভুক্ত বই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচিতে রাখা হয়েছে। যার ফলে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাধারে দুটি আইনের প্রাপ্তি অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। আল-ফিক্হ বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সবথেকে আনন্দের বিষয় তারা এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম (মার্স্টাস)-এর মর্যাদা লাভ করছে। বর্তমানে জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহকারী জজ, অ্যাডভোকেসিসহ বিভিন্ন আইন পেশায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

এবিষয়ে প্রফেসর ড. আলতাফ হোসেন
বলেন, ‘সেশনজট শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীর জন্য অভিশাপ নয় একজন শিক্ষকের জন্যেও গ্লানির বোঝা। বিভাগের সকল শিক্ষক একত্র এবং তাদের মধ্যে টিম ওয়ার্কের প্রবণতা থাকলে সেশনজটের প্রশ্নই আসে না। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় থাকলে সেশনজটসহ অন্যান্য যেকোনো ধরনের সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’

এবিষয়ে বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘আল-ফিক্হ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চূড়ান্ত পর্যায়ে অবস্থান করে সাধারণ জনগনকে আইনি সহায়তা দিতে সক্ষম হবে তারা।

আরবীতে অদক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রাম মিলে প্রায় ২৫০০ নাম্বারের আরবী বিষয়ে পড়ানো হয়। জেনারেল শিক্ষার্থী অর্থাৎ স্কুল-কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশ আরবীতে অদক্ষ। এসব বিষয়ে পাস করাই তাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এটি মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরির ক্ষেত্রে বিরাট একটি অন্তরায়।



 

Show all comments
  • MD Dinislam ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৩:০১ পিএম says : 0
    এখানে কি কওমি দাওরায়ে হাদিস পাশ করা ছাত্ররা পড়তে পারবে???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ