রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিলের ভয় দেখিয়ে অভিনব কায়দায় ঘুষ আদায়ের ঘটনায় পটিয়া নির্বাচন অফিসের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেছে প্রার্থীরা। গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২৫ নভেম্বর। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা পিপলু চন্দ্র নাথকে খরনা, শোভনদন্ডী, আশিয়া, ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়। গতকাল সোমবার মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন ছিল। এর পূর্বে গত শনি ও রবিবার বিভিন্ন প্রার্থীকে রির্টানিং অফিসার মোবাইল ফোনে জানায় আপনার ফরমে ভুল আছে। আপনার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। এতে প্রার্থীরা রির্টানিং অফিসারের সাথে দেখা করলে অফিসের কর্মচারীদের মাধ্যমে ২ ও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। শোভনদন্ডী ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী নুরু উদ্দিন জানান ভুল সংশোধণ করে দেয়ার জন্য তার থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। সে দেড় হাজার টাকা দিয়েছে। প্রার্থী আনোয়ারা বেগম থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করলে সে টাকা না দিয়ে চলে আসে। এ অবস্থায় খরনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী অনুপ দত্ত থেকে ফরমের ভুল দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এতে বিভিন্ন প্রার্থীরা জড়ো হয়ে রিটার্নিং অফিসারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। পরে নির্বাচন কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ব্যাপারে পিপলু চন্দ্র নাথ থেকে জানতে চাইলে তিনি ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরফাত আল হোসাইনি থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসের কিছু কর্মচারী চা নাস্তা খাওয়ার জন্য কয়েকজন থেকে কিছু অর্থ নিয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।