Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিতে খরচ কমছে অর্ধেক

আনোয়ারায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কৃষক সাহাব উদ্দিন (২২) একসঙ্গে ধানকাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তাবন্দী করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ৫০ শতাংশ কম খরচে ‘কম্বাইন হারভেস্টার’ দিয়ে ধান কাটায় মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে অনেক ধানের অপচয় ও হয় না। এতে দিন দিন কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হযে উঠছে নতুন কৃষি উপকরণ কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রশিক্ষন নিয়ে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভুর্তকির মাধ্যমে সাহাব উদ্দিন হারভেস্টার মেশিনটি ক্রয় করে।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের কৃষক সাহাবউদ্দিনকে ফেনী খামার যান্ত্রীকিকরণ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভুর্তকির মাধ্যমে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে কৃষি শ্রমিক সংকটে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে এক একর জমির ধান কাটা,মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তাবন্দী করে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা, কিন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা ফলে আগের চেয়ে খরচ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আবার এই যন্ত্র দিয়ে ১ বছরের মধ্যে খরচ তুলে নিয়ে মুনাফা অর্জন করা যাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় দেড় একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করা যাচ্ছে। এ কারণে হারভেস্টার মেশিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জানাযায়, আনোয়ারায় রায়পুর,হাইলধর ও শিলাইগড়া এলাকায় ৩ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষি কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এসব যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকের পরিশ্রম যেমন কমেছে, তেমনি কমে গেছে ফসলের উৎপাদন ব্যয়। সব মিলিয়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুফল পাচ্ছে কৃষকরা। কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে ফসল সংগ্রহের পুরো কাজটি ১-২ জন শ্রমিক দিয়ে সম্ভব হচ্ছে। ভেজা কাদামাটি, পানিতে ডোবা কিংবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সব সময়েই মাঠে ব্যবহার করা যাচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টার।’
কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারী ভুর্তকিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ ও কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলীর সহযোগীতায় হারভেস্টার মেশিনটি নিতে স্বক্ষম হয়েছি। এই হারভেস্টার ব্যবহারের কারণে খরচ কমে গেছে, সময়ও লাগছে কম। হাতে ধান কেটে, মাড়াই কলে প্রক্রিয়াজাত করে, বাজারে নেয়া পুরো প্রক্রিয়াতে ধানের অপচয় হতো। কিন্তু এখন জমিতেই সব করে ফেলতে পারি এই যন্ত্রের সাহায্যে। যা ফসলের অপচয় কমিয়ে এনেছে।’ একারণে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমজান আলী জানান, সরকারী ভুর্তকির মাধ্যমে উপজেলায় ৩ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা চলছে। খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে এর ব্যবহার বাড়ছে। আগামীতে কৃষকদের সব কাজ আধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ