বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহেশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি বলে রোববার জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মফিজুল ইসলাম।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদের ওপর হামলাকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তাঘাটে আমজাদ হোসেনকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে গুম করে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন আমজাদ হোসেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন— মহেশখালী পৌরসভার সিকদারপাড়া গোরকঘাটা এলাকার মৃত হাশেম সিকদার ওরফে বড় মোহাম্মদের ছেলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া (৫৩), তার ছেলে হাম্মাম শাহাজাদ (২১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২২), ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মামুন (৪২), মকছুদ মিয়ার ভাই আতাউল্লাহ বোকারী (৪৫), মৌলানা আব্দু সবুরের ছেলে শামসুদ্দিন (২৮), মঈন উদ্দিন (৩০), মৃত জাফরের ছেলে বশির উদ্দিন (৩৩), নুরুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (৩১), তৌহিদুল ইসলাম (৩৪), মৃত গুরা মিয়ার ছেলে সোলতানুল আলম (৫৬), মৃত জাফরের ছেলে রকি (২৮), মৃত ইসহাকের ছেলে জাহাঙ্গীর-প্রকাশ বিলাই জাহাঙ্গীর (৪৫), হাসান মোর্শেদ (২৫), পশ্চিম সিকদারপাড়ার মৃত মৌলভী আতিকুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫), মিজানুর রহমান (৪০), গোরকঘাটার চরপাড়া ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মাঈন উদ্দিন (২৮), পূর্ব সিপাহিপাড়া এলাকার সৈয়দ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শান্ত (২৬), জসিম উদ্দিন (২৪), ৪নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকার মতলবের ছেলে গোলাপ শাহা (৩৫), ছোট মহেশখালী ডেইলপাড়া এলাকার মৌলভী আবছারের ছেলে ওবাইদুল মোস্তফা কাউছার (৩৬), ঘোনাপাড়া এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে ফরিদ আলম- প্রকাশ কালা ফরিদ (২৭), দক্ষিণ ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত মোছন আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫), মহেশখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মোহাম্মদ আমিরের ছেলে আলা উদ্দিন (৩২), মৃত নজিরের ছেলে আমান উল্লাহ (৩৫)।
গত ২৪ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসীর দল তাকে খুন করার উদ্দেশ্য কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ফেলে চলে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় আত্মীয়রা তাকে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আমজাদ হোসেনের ছেলে মাস্টার দেলোয়ার হোসেন জানান, মকছুদ মিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীর হত্যা প্রচেষ্টার পর তার বাবা কোনো রকমে জানে বেঁচে গিয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একটু স্বস্তি পেলেও পুরোপুরি আশঙ্কা মুক্ত নন।
তিনি জানান, মাথায় লম্বা দা তিনটি কোপ, হাতে পায়ে রডের আঘাতে পুরো শরীর জর্জরিত। সবচেয়ে যেটি বেশি এখনও আশঙ্কাজনক তার মাথার পেছন সাইডে একটি আঘাত। চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসার পর ভালো হবে, তবে সময় লাগবে।
এ ব্যাপারে মামলার আসামি মেয়র মকছুদ মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি সবেমাত্র হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আসামিদের মধ্যে কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।