পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রীকে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত ভবনে যেখানে ইঁদুর, বিড়াল ঘুরে বেড়াতো সেখানে রাখা হয়। এরপরে তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো সেখানে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ফলে তার ভেতরে যে রোগের সূত্রপাত হয়েছিলো। আজকে অনেকের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, সেদিন কী বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছিলো? আমরা এটা জানতে চাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে যুবদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সন্দেহ-সংশয় জন্ম নিয়েছে খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কিনা? কারণ এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। যারা জোর করে আগের রাত্রে ভোট ডাকাতি করে যারা ক্ষমতায় বসে থাকতে পারে এবং যারা অবলীলায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে, গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে হত্যা করতে পারে এবং তাদেরকে পঙ্গু করতে পারে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৫‘শ নেতা-কর্মীকে গুম করে দিতে পারে তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনে সকলকে ঘর থেকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী আজকে তার জীবন নিয়ে লড়াই করছেন। আমরা কি আর ঘরে বসে থাকবো? আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে তার জীবন রক্ষার জন্য অবশ্যই প্রাণপণ কাজ করব।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আরো শক্তি নিয়ে সকলকে নেমে আসতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে না পাঠালে এর পরিণতি শুভ হবে না উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যথায় এই জনগণ আপনাদের বিচার করবে, তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তখন আর কাউকে খুঁজে পাবেন না। পেছনের দরজাটাও আপনারা খুঁজে পাবেন না। সকলকে বলব, আসুন আমরা সবাই আরো ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করে সরকারকে বাধ্য করি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে।
যুবদলের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে ফুটপাতে বসে খালেদা জিয়া ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে এই সমাবেশে অংশ নেয়। যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালায় সমাবেশে বিএনপি মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, আলী আকরব চুন্নু, মোনায়েম মুন্না, গোলাম রাব্বানী, তরিকুল ইসলাম বনি, এসএম জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন সিদ্দিকী, কামাল আনোয়ার আহমেদ সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় যুবদলকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।