পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নটরডেম কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীকে নাঈম হাসানকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাসেল খানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালত এ আদেশ দন। পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন বিষয়টি জানান।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই আনিছুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনা আইনে করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাসেলকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় তিনি রাসেলকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এদিকে, নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল দুপুরে ডিএমপির পল্টন মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মতিঝিল বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ বলেন, ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাসেল খান। কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ওই গাড়ির চালক নন। আমরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। গ্রেফতার রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাড়িটির মূল চালক হারুন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো কেউ কেউ লিখছেন- ঘটনার সময় প্রকৃত চালক গাড়ির ভেতরেই ছিলেন এবং তিনি পালিয়ে যান। তবে বিষয়টি সত্য নয়। ওই সময় গাড়িতে প্রকৃত চালক ছিলেন না।
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ট্রাকের চালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী ও বেলালকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের অফিসের পূর্ব প্রান্ত থেকে আটক করে।
আব্দুল আহাদ বলেন, সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় ও ময়লার গাড়ি জব্দ করে। লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহ আলম দেওয়ান বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছে। রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত ড্রাইভার না। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত ড্রাইভার হারুন রাসেল খানের বদলিতে সে গাড়িটি চালায়।
ডিসি মতিঝিল বলেন, সিটি করপোরেশনের বরাদ্দকৃত গাড়ির চালক হারুন। গাড়িটি চালানোর কথা হারুনের কিন্তু সে না চালিয়ে রাসেলকে দিয়ে চালাচ্ছিলেন। ইতোমধ্যে হারুনকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব। হারুনকে গ্রেফতারের তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, কেন সে রাসেলকে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল।
গ্রেফতার রাসেলের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসেল সিটি করপোরেশনের কেউ না। তবে সে সিটি করপোরেশনের কিছু কাজ করে। রাসেল জানিয়েছে- তার আত্মীয়-স্বজন সিটি করপোরেশনে চাকরি করে সেই সূত্র ধরে সে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করত। রাসেল এর আগেও এই গাড়ি চালিয়েছিল নাকি সেদিনই প্রথম চালিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে এর আগেও গাড়িটি চালিয়েছিল। গাড়ির চাবি সিটি করপোরেশনের কেউ দিয়েছিল নাকি হারুন দিয়েছিল। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কেউ দেয়নি। গাড়ির চাবি হারুনই রাসেলকে দিয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।