কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত ও উন্নত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আগামী মাসের যে কোন দিন প্রদানমন্ত্রী এই কউক ভবন উদ্বোধন করবেন। এখন এই ভবনের ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন উদ্বোধন করবেন সেদিন আবারো আপনাদের কষ্ট করে এখানে আসতে হবে। আজ শুধু দোয়া মাহফিলে আপনাদের কষ্ট দেয়া হয়েছে।
তিনি কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের অবদানের জন্য
কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারসহ যেভাবে
বাংলাদেশকে গঠন করতে চান সেভাবে আমরা যেন সবাই কাজ করতে পারি আল্লাহর দরবারে সেই তাউফিক কামনা করেন কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমদ।
তিনি বলেন, একটা কাজ শুরু করে অনেকেই তার ফল ভোগ করতে পারেন না। কউকের এত বড় দাপ্তরিক ভবনের কাজ শুরু করে শেষ করতে পের তিনি মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। প্রধানমন্ত্রীর ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি কক্সবাজারবাসীর প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
২০১৮ সালের জুন থেকে ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক এই বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এই নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ করে (২৫ নভেন্বর) বৃহস্পতিবার দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এই ভবনে কার্যক্রম শুরু করেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এ-উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নতুন দাপ্তরিক ভবনে দোয়া মাহফিল ও মেজবানের আয়োজন করেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে কক্সবাজার সদরের এমপি সামুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান সহ সরকারের সকল দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজার সহ কক্সবাজারকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলার জন্য। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকেই এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কয়েক মেয়াদে
দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ লালদিঘী, গোলদিঘি ও বাজার ঘাটার নাপিতা পুকুরসহ কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী তিনটি পুকুর সংস্কার করে পর্যটক আকর্ষণে সুনাম অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রধান সড়কের মাল্টিপল কাজ করে যাচ্ছেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।