পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আবারও ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো অবলোপনের হিসাব বাদে খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়ালো। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসের শেষে প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে এক লাখ এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে পরের ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট ঋণ বিতরণ করেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৪৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ছিল ৪২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। ওই সময় বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বরের শেষে যা ছিল ৪০ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা।
গত সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।
বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। এই অঙ্ক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে মোট ৩২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে তথ্য দিচ্ছে, আসল অঙ্ক তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আমাদের অজানা। ঋণ আদায় না করে, ঋণ খেলাপিদের নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী মজা পাচ্ছে, তা আমার মাথায় ঢোকে না।
অন্যদিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি সবসময় ঋণের কিস্তির ওপরে নির্ভর করে না। বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে পেমেন্টের উপরও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি নির্ভর করতে পারে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় খেলাপি ঋণও কিছুটা বেড়েছে। তবে তা খুব বেশি বাড়েনি। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ খেলাপি ঋণ কিছুটা কমে আসবে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।