Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেয়র আব্বাসের আপত্তিকর মন্তব্যের অডিও ভাইরাল

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিস্কারের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানো নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠে কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে। তিনি এই পৌরসভায় পরপর দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া তিনি পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা কমিটির সদস্য।

তার একটি অডিও ঘুরছে হাতে হাতে। এ নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সাধারণ মানুষও বেশ উৎসুক। অডিওতে শোনা যায় ‘সিটি গেট আমার অংশে। একটি ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশী স্টাইলে সাজিয়ে দিবে, ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে মুর‌্যালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামী শরীয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না, সব করবো তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (মুর‌্যাল)।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ.. সে জন্য রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল বসাতে দিবো না। দরকার হলে জীবন দিয়ে প্রতিহত করবো’। তিনি বলেছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি আমাকে যেভাবে বুঝাইছে আমি দেখতে পাচ্ছি যে মুর‌্যালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে। তো কেন দিব? আমিতো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে মুর‌্যালটা হলে আমার ভুল করা হবে। এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে। এই মুর‌্যাল দিতে চেয়ে দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষেক খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে অখুশি করা যাবে না।

আব্বাস আলীর এক মিনিট একান্ন সেকেন্ডের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এদিকে ১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও ক্লিপে স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মেয়র আব্বাস। একপর্যায়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর পদ পাওয়া এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়েও কটূক্তি করতে শোনা গেছে। যদিও কথার একপর্যায়ে আব্বাস আলী বলেছেন, তিনি কারো রাজনীতি করেন না। রাজনীতি করেন বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর।

তবে অডিওটি তার নয় বলে দাবি করে পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘মুর‌্যাল করা যাবে না, মুর‌্যাল করলে পাপ হবে, এ ধরণের কথা আমার সঙ্গে কারও হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার মতো আমার সাহস কখনও ছিলো না।’

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, পৌর মেয়র আব্বাসের বক্তব্য লোকমুখে শুনেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা খুব অন্যায়। আমরা এর তদন্ত করবো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যদি কোন কটূক্তি করে থাকে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মেয়র আব্বাস যদি এই ধরনের কথা বলেই থাকেন, তবে তিনি দলে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করবে এটা মেনে নেয়া যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ