Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমড়ো বড়িতেই জীবিকা

শামিম হোসেন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রয় করে জীবিকা চলছে বেশ কয়েকটি পরিবারের। এ বড়ি সারা বছর তৈরি করা গেলেও এটা শীতের সময়টাতে বেশি তৈরি হয়। কারণ এটি শীতের সময় রান্না করে খেতে বেশি শুস্বাদু লাগে।
সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামে দেখা যায় ১০ থেকে ১২টি পরিবার কুমরো বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাচ্ছে। আর এ বড়িগুলো রোদে শুকানো হলেই বিক্রি করা হবে বিভিন্ন হাট-বাজারে। এমনকি এ বড়ি তৈরির চাতাল বা খোলা থেকেও সরাসরি পাইকারগণ ক্রয় করে নিয়ে যান।
জানা যায়, এই কুমরো বড়ি তৈরি হয় করতে প্রথমে ডাল ভিজিয়ে গুরো করে ছোট ছোট বড়ি করে টিনের তৈরি সিটের ওপর শুকানো হয় পরে সোয়াবিন তেলের মাঝে ভেজে খাওয়ার উপযোগী করি বিক্র করা হয়। আগের দিনে ডাল শিল পাটায় পরিবারের মেয়েরা সারা রাত ভর গুরো করে তা সারাদিন রোদে শুকানোর পর কুমরো বড়ি তৈরি করতো। কিন্তু বর্তমানে সরকারের উন্নয়ন ভাবনায় দেশ ডিজিটালের সাথে সাথে কুমরো বড়ি তৈরি করার যন্ত্রও যেন ডিজিটাল হয়েছে। এখন ডাল গুরো করার মেশিনের সাহায্যে ঘণ্টার মধ্যই অনেক ডাল গুরো করে বড়ি তৈরি করা যায়।
কুমড়ো বড়ি তৈরির কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের এ কুমরো বড়ি তৈরি করার আগে পারিবারিক অবস্থায় তেমন স্বচ্ছল ছিল না। সংসারে অভাব অনাটনে হাহাকার যেন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে তারা এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী। আল আমিন নামের এক কারিগর জানান, কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে প্রথমে প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল গুরো করা হয়, শুধু হাতের মাধ্যমে বড়ি তৈরি করতে রোদে শুকতে হয়। আর এ কাজে আমাদের সহযোগীতা করে পরিবারের নারী সদস্যগণও। সরকারের দেয়া কিছু সুবিধা পেলে বড় আকারের এ বড়ি তৈরি করে দেশব্যাপি রপ্তানি করতে পরবো।
কুমড়ো বড়ি তৈরির আরেক কারিগর মুনছুর আলী বলেন, আমি একদিনে আমার চাতালে ১২০ থেকে ১৩০ কেজি কুমরো বড়ি তৈরি করতে পারি। প্রতি কেজি বড়ি চাতাল থেকে পাইকারী ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারে ১শ’ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রয় করা যায়।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আ.ফ.ম নজরুল ইসলাম বলেন, কুমরো বড়ি তৈরি করে উপজেলায় অনেক যুবকের বেকারত্ব দূর হচ্ছে। আমরা আমাদের অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ দিয়ে লোনের ব্যবস্থা করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ