পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৬৪ জন নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। গত এক সপ্তাহে দেশে মোট ১ হাজার ৫৮৭ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪৮৮ জন। এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
আর গত সাত দিনে মারা গেছেন আরও ৩১ জন, আগের সপ্তাহে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭ জন। এক সপ্তাহে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই ৩১ জনের মধ্যে ১৬ জনেরই কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধি বা কোমরবিডিটি ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ ডায়াবেটিসে, ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে এবং ৪১ দশমিক ২ শতাংশ হৃদরোগে ভুগছিলেন।
সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫২ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৩৩৯ জন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৭ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৬০ জন। অর্থাৎ, এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ২২৩ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট সংখ্যার ৮৪ শতাংশের বেশি। যে ২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১ জন ঢাকা বিভাগের এবং ১ জন ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। দু’জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। আর দেশের ৩৩টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ১৮ হাজার ৬১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪১১টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা আগেরদিন ছিল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুবরন করেন, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৭৬ লাখের বেশি রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।