পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালিন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেয়ার ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নিলেন আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন।
আপিল বিভাগ বিভাগের কার্যতালিকায় তার বিষয়টি (রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার) ১ নম্বর ক্রমিকে ছিলো। শুনানি শেষে তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা (সিজ) করার বিষয়ে আদেশ দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে। এর আগে গতকাল সকাল ৯টার দিকে মোছা. কামরুন্নাহার আপিল বিভাগে হাজির হন। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়। ১১টার দিকে শুনানি শেষ হয়।
এর আগে স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিচারিক দায়িত্ব থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া মোছা. কামরুন্নাহারকে তলব করে আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিনি আপিল বিভাগে এসেছিলেন। একই বিষয়ে গত বছরের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ মোছা. কামরুন্নাহারকে ওই বছরের ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বিষয়ে আর শুনানি হয়নি।
এছাড়া গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে কামরুন্নাহার ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেয়ার পর সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি তাকে বিচারকাজ থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।