বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও দেশবরেণ্য কৃষিবিদ আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বাদশা’র জানাজা নামাজ সম্পুর্ণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বাদ মাগরিব তারাগন্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে হাজারো জনতার উপস্থিতিতে এ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নিজ এলাকা নালিতাবাড়ীতে কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা’র লাশ পৌছা মাত্র সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন আত্মীয়-স্বজন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও হাজারো সাধারণ মানুষ।
জানাজায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, বাংলাদেশ সরকারের সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ফারুক আহমেদ, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞপিপি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বুরহান উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান লেবু, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল উদ্দিন, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, সেকান্দর আলী কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাস্টিজ, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী কৃষিবিদ ডা. আওলাত হোসেন, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি বায়েজিদ হাসান, নকলা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাহ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল, নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান জাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম পরিবারের পক্ষ থেকে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুদ্দৌলা ও বদিউজ্জামান বাদশার ছেলে ভাষন।
জানাজায় অংশ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
জানাজায় অংশ নিয়ে হুইপ আতিক বলেন, বদিউজ্জামান বাদশা দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ, ত্যাগী নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হুইপ আতিক।
সেই ক্ষেত্র থেকে তিনি জীবদ্দশায় কারো সাথে করা কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে পরিবারের সকলের পক্ষ থেকেও ক্ষমা চান তিনি।
উল্লেখ্য – বরেন্য এই কৃষিবিদ গত আগষ্ট মাসে সামান্য অসুস্থতা নিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১০/১২ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেন।
কয়েকদিন পরে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে আনোয়ার খান মডেল হাসাপাতালে ভর্তি হন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ বাদশা উন্নত চিকিতসার জন্য চলে যান চেন্নায়ের এ্যাপোলো হাসপাতালে। এ্যাপোলোতে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, বাদশার অগ্নাশয়ে মাস দুয়েক পূর্বে একটা টিউমার হয়েছিলো, যথাযথ রোগের চিকিৎসা না হওয়ায় টিউমার ব্রাষ্ট হয়ে ক্যানসারে রূপ নিয়েছে, সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে এই মরণ ব্যাধির জীবাণু এবং ক্যানসার শেষ ধাপে রয়েছে। পরবর্তী সেখান থেকে বাদশাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। বেশ কিছু দিন সেখানে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তিনি আজ সোমবার তিনি মৃত্যুবরন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।