রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী পৌর শহরের রেলস্টেশন সড়কটির ইট, সুরকি ও কার্পেটিং ওঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই সড়কটি এভাবে পড়ে থাকলেও কখনও এটি সংস্কার কাজে এগিয়ে আসেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর সাধারণ মানুষ, দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রী সাধারণ ও গাড়ি চালকদেরকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কলেজ রোডে শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণী বিতানের উত্তর পাশে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে স্টেশন সড়কটির অবস্থান। এই সড়কটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ পৌরসভার হলেও পূর্ব পাশে প্রায় ৩ থেকে ৪শ’ মিটার সড়ক রেলওয়ের। এ সড়কটির ইট, খোয়া, বালি ও কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে বিলীন হওয়ার পথে। এদিকে স্টেশন এলাকায় সড়কের অংশটুকু নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিতে হাটু পরিমাণ পানি জমে যায়। পাশে ফেনী পৌরসভার ড্রেনগুলো বালি মাটিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই পানি দুই/তিনদিনেও সরে না। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা সময়মত স্টেশনে পৌঁছাতে পারেনা। বিকল্প রাস্তা দিয়ে তাদেরকে আসতে হয়। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও জনসাধারনকে।
স্থানীয়রা জানান, রেলস্টেশনে আসার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ফেনীসহ নোয়াখালী-লক্ষীপুর জেলা, চট্রগ্রামের বারইয়ারহাট, মিরসরাই উপজেলা, খাগড়াছড়ির জেলার রামগড়, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থেকে অসংখ্য যাত্রী নিরাপদে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে এ স্টেশনে আসেন। কিন্তু বিগত ১৫-২০ বছর ধরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে এভাবেই পড়ে রয়েছে। সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা আরও জানান, একদিকে সড়কের অবস্থা খারাপ অন্যদিকে রেল স্টেশন এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার ডিপোর দুর্গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। আবার সড়কের ওপর অবৈধ প্রাইভেট কার, মাইক্রো স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ। পৌরকর্তৃপক্ষ কবে ড্রেন পরিস্কার করেছে তাদের জানা নেই। সিএনজি চালক মাসুদ, হারুন ও আজাদ বলেন, এ রাস্তাটিতে যে হারে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে গাড়ি নিয়ে এ পথে আসতে আর মন চায় না। রিকশাচালক আজগর আলী বলেন, স্টেশনের যাত্রী বেশি থাকায় আমাদেরকে এ পথে বেশি আসতে হয়। কিন্তু সড়কের এ অবস্থা দেখে যাত্রীরা অন্য রাস্তা দিয়ে আসে।
স্টেশনে আসা ঢাকাগামী যাত্রী মনোয়ার হোসেন, ছালমা আক্তার বলেন, ফেনী স্টেশনের প্লাটফর্মের কিছুটা উন্নয়ন হলেও স্টেশন এলাকার প্রবেশপথ রাস্তার অবস্থা খুবই করুন, চারপাশের পরিবেশও তেমন ভালো না। এসব বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী বলেন, সড়কের ওই অংশটুকু রেলওয়ের জায়গা। পৌরসভার অধিনে থাকলে এ সড়ক অনেক আগেই মেরামত করা হতো। পাশের ড্রেনগুলোর মেরামত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
ফেনী রেলওয়ের উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য্য) আতিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, সড়কের এই অংশটি রেলওয়ের। আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান অফিসে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সড়ক সংস্কার কাজের জন্য গত জুনে টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল নকশা জটিলতার কারণে এটি আর হয়নি। তবে আগামী জুনের আগেই সড়কটি মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।