বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতি কাটিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি খামার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আর এই প্রণোদনার তালিকা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই তালিকার সাথে জড়িত এক কর্মকর্তা অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, মাঠকর্মীরা কিছু টাকার লোভে এই অনিয়ম করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, যে সব খামারি মাঠকর্মীদের প্রণোদনার একটি অংশ দিতে রাজি হয়েছে শুধু তাদেরকেই তালিকার আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঘুষের বিনিময়ে গবাদি পশু নেই এমন ব্যক্তিকেও প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কতজন খামারিকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তার সুর্নিদিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সাজেদুল ইসলাম। তিনি তথ্যের জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন।
সাভার উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর প্রনোদনার তালিকার চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে দৈনিক ইনকিলাবের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও প্রায় তিন মাসেও তথ্য দেয়া হয়নি। একাধিকবার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সাজেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজ, কাল, একসপ্তাহ পরে আসে এই বলে ঘুরাতে থাকেন।
তবে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেবের কাছেও সরকারী প্রনোদনার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের এখানে কোন অনিয়ম, দূর্নীতি হয় নাই। যার যার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংএর মাধ্যমে পেয়েছে। এই তালিকা দিয়ে কি করবেন। তারপরও দেখেন স্যার (ডা: মো: সাজেদুল ইসলাম) কি বলেন।
জানাগেছে, করোনা পরিস্থিতিতে সাভার উপজেলায় গরু ও মুরগি খামারিদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এর আওতায় বিভিন্ন বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা ১০ হাজার, ১৫ হাজার ২০ হাজার টাকাও দেয়া হচ্ছে।
খামারিদের অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে প্রণোদনার তালিকায় একই খামার দেখিয়ে দুই থেকে তিনজনের নামও দেয়া হয়েছে। গবাদি পশু নেই এমনও ব্যক্তিদেরও টাকা দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, গরু কিংবা মুরগী বেশি দেখিয়ে তালিকায় নাম উঠিয়ে দেয় প্রাণিসম্পদ অফিসের মাঠকর্মীরা। প্রনোদনার টাকা আসলে একটা অংশ তাদের দিতে হয়। আবার অনেকের কাছ থেকে মাঠকর্মীরা অগ্রীম টাকাও নিয়ে গেছে। যেসব ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মাঠকর্মীদের প্রণোদনার টাকার জন্য ঘুষ দিতে রাজি হয়নি তাদের তালিকায় নাম উঠেনি বলেও শুনা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।