Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

 খুলনায় শীতের সবজির দামে খুশি বিক্রেতা, হতাশ ক্রেতা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ৪:১৮ পিএম

শীত এসে গেছে। খুলনার বাজারে উঠেছে শীতকালীন নানা তরিতরকারি। বাজারে তরিতরকারির সমারোহ থাকলেও দাম প্রায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বাজারে বিক্রেতাদের মুখে হাসি আছে, কিন্তু ক্রেতাদের নেই।

খুলনার বড় বাজার, চিত্রালী বাজার, দৌলতপুর বাজার, হাউজিং বাজার ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন তরিতরকারির ছড়াছড়ি। বেশীরভাগ সবজিই আগাম আবাদের। শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাতা কপি ৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ওলকপি ৬০ টাকা, মাঝারী আকারের লাই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, শাল শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারো এখনো পেঁয়াজের কালি (পাতা), নতুন আলু ওঠেনি। তবে পেঁপে ও উচ্ছার দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম। পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং উচ্ছা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চিত্রালী বাজারের তরকারি বিক্রেতা আনিস দুষলেন পাইকারদের। তিনি জানান, পাইকারী বাজারে দাম বেশী হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেশী। ডিসেম্বরের শেষদিকে তরকারির দাম কমে আসবে বলে তিনি জানান। একই বাজারে তরকারি কিনতে আসা ব্যাংক কর্মচারী হাফিজুর রহমান আক্ষেপ করে বললেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশী। সরতার দাম নিয়ন্ত্রনে কিছুিই করতে পারছে না। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছি।
খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ পাইকারী বাজারের আড়তদার আমিনুল ইসলাম জানান, তরিতরকারি দূরদূরান্ত থেকে আসে। পরিবহন খরচ এখন বেড়েছে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে তরকারির দাম বেশী। তাই পাইকাররা দাম কিছুটা বেশী রাখছে।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশীরভাগ তরিতরকারি খুলনার স্থানীয় পর্যায়ে আবাদ হয়। মধ্যস্বত্বভোগীরা তরকারির দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা লুটছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ