Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গোপসাগরে আবার ডাকাতি শুরু

মুক্তিপনের দাবীতে পাঁচ জেলে অপহৃত মাছ ও ডিজেল লুট

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১:৪৫ পিএম

বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারে আবারো ডাকাতি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে চার ট্রলারে হামলা চালিয়ে মুক্তিপনের দাবীতে চার জেলে অপহরণ ও এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে ডাকাত দল। এসময় ট্রলারে থাকা ইলিশ মাছ, ডিজেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
ডাকাতির শিকার হওয়া ট্রলারগুলো হচ্ছে, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর এলাকার আনোয়ার হাওলাদারের এফবি আট ভাই ফিস, একই এলাকার আমিনুল হাওলাদারের এফবি শাওন, পাথরঘাটা উপজেলার ফিরোজ মাতুব্বরের এফবি মায়ের দোয়া, বাদুরতলা গ্রামের নেছার উদ্দিন খানের এফবি মা এবং চর লাঠিমারা গ্রামের বাবুল ফকিরের এফবি বাবুল ট্রলার।
(২১নভেম্বর) রবিবার সকালে ডাকাতের কবল থেকে শরণখোলার রাজৈর মৎস্যঘাটে ফিরে আসা এফবি আট ভাই ফিস ট্রলারের মাঝি মহিদুল মুন্সি জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৯টায় সুন্দরবনের কচিখালীর বাহির সাগরের গাঙ্গের আইন এলাকায় তারা ১৭ টি ট্রলার মাছ ধরছিলেন। এমনসময় অপর একটি ট্রলারে ১১ সদস্যের ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দা নিয়ে তাদের ট্রলার গুলোতে হামলা চালায়। ডাকাত দল হামলা চালিয়ে ইলিশ ও ডিজেলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তিন লাখ টাকা করে মুক্তিপনের দাবীতে তাদের ট্রলারের জেলে লোকমান হোসেন (৬০), এফবি শাওন ট্রলারের মাঝি জাকির হোসেন (৫০) ও পাথরঘাটার এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলে জামাল হোসেন (৫০)কে অপহর করে নিয়ে যায়। পাথরঘাটা মাছধরা ট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়া জানান, গত (১৯ নভেম্বের) শুক্রবার দক্ষিন-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের আশার চর এলাকা থেকে এফবি মা ট্রলারে হামলা চালিয়ে ডিজেল ও বিভিন্ন মালামালসহ ট্রলারের মালিক ও মাঝি নেছার উদ্দিন খানকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরন করে নিয়ে যায়। এঘটনার আগে গত ১৬ নভেম্বর সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় এফবি বাবুল ট্রলারে হামলা চালায়। ডকাত দল ট্রলারের মালামাল লুট করে নিয়ে যওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জেলে মোঃ মুসাকে গুলি করে হত্যা করে। তার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার চর লাঠিমারা গ্রামে।
এব্যাপারে বাগেরহাট জেলা ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, এবছর ইলিশ মৌসুমে এ অঞ্চলে মাছ না পড়ায় জেলে ও মহাজনরা নিস্বঃ হয়ে দেনাগ্রস্থ হয়ে পরেছে। এ অবস্থায় ডাকাতের কবলে পড়ায় তাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
জানতে চাইলে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বঙ্গোপসাগরে তাদের একটি জাহাজ ও সুন্দরবনের কচিখালী, দুবলার চর স্টেশনের সদস্যরা টহলে রয়েছে। তবে জেলেরা কোস্টগার্ডের ০১৭৬৯৪৪৪৯৯৯ নম্বরে কল দিলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বের প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর এলাকা দস্যুমুক্ত ঘোষনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ