পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিক্ষিপ্তভাবে ‘চীনে নতুন রোগের আবির্ভাব’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্রেকিং নিউজ দেয় দৈনিক ইনকিলাব। তখনো দেশের বেশিরভাগ চিকিৎসকই করোনাভাইরাসের নাম শোনেননি। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘ছোঁয়াচে নোবেল করোনাভাইরাস : নতুন রোগের ঝুঁকি’ শীর্ষক লিড নিউজ প্রকাশের পর বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চোখে ভাঁজ পড়ে যায়। এ কেমন ছোঁয়াচে রোগ! সপ্তাহ যেতে না যেতেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য এই ভাইরাস। অতপর চীন সামলে নিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ব্রাজিলসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোতে প্রতিদিন এ রোগে প্রাণ হারাতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যায় অজানা রোগের ভয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অদৃশ্য এ রোগের নামকরণ করে কোভিড-১৯। বাংলাদেশে এ রোগের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ওই বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যের খবর আসে ১৮ মার্চ। তারপর সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই করোনাভাইরাস নাস্তানাবুদ করে তোলে মানুষের কর্মময় জীবন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দফায় দফায় অদৃশ্য এই ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে একের পর এক লকডাউন দেয়া হয়। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ সরকারি অফিস-আদালত কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়। করোনার প্রথম ঢেউ এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। অর্থনৈতিকভাবে অনেকেরই হয় পঙ্গুদশা। তবে সরকার বিভীষিকাময় দিনগুলোতে গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষকে নানাভাবে আর্থিক সহায়তা, প্রণোদনা, ঋণ দিয়ে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, চিকিৎসক, নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দেন। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পোল্যাণ্ড, রাশিয়া, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়াসহ প্রভাবশালী দেশগুলো এখনো করোনাভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তখন বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য দেখলো মানুষ। করোনা ঠেকাতে এখন করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। অজানা এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশ বাংলাদেশ। করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে।
‘পজেটিভ নিউজ’ পড়া পাঠকরা যেন ভুলতে বসেছে। যাপিত জীবনের নানা সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধিতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এর মধ্যে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর খবর দিয়েছে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। অর্থাৎ কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ১৭৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। শুধু তাই নয়, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬ জন।
পৃথিবীর প্রভাবশালী দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ দীর্ঘ ২০ মাস করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা অতিবাহিত করেছে। জীবন ছিল মানুষের হাতের মুঠোয়। মা মারা গেলে সন্তান কবর না দিয়ে পালিয়ে যেত; বাবা মারা গেলে ছেলেমেয়ে লাশ রাস্তায় ফেলে আসতেন। পথে ঘাটে লাশ পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। এমনকি যে বাসায় করোনা রোগী, সে বাসায় রেড সিগন্যাল টানিয়ে দেয়া হতো। বিভীষিকাময় দিন তথা করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সরকার গঠিত করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে কয়েক দফায় লকডাউন দেয়া হয়। কখনো সারা দেশে কখনো অঞ্চলভিক্তিক লকডাউন দেয়া হয়। এ সময় দেশের সবকিছুই বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও ছোট ছোট চাকরিজীবীরা আর্থিকভাবে নিদারুণ সঙ্কটে পড়েন। অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যান। প্রথম দিকে সরকার নানা প্রক্রিয়ায় খাদ্য সহায়তা দিলেও পরে আর্থিক সহায়তা দেন। ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে প্রায় আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা নিয়ন্ত্রণে নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের শেষ দিকে করোনার প্রথম ঢেউ কমে আসে। পরে মার্কেট ও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের প্রথমদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। সীমান্ত দিয়ে চলাফেরা করা মানুষের মাধ্যমে বাংলাদেশে সে ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। কয়েকটি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পরও করোনাভাইরাস সীমান্ত জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। নতুন করে লকডাউনের আওতায় আনা হয় পুরো দেশ। করোনা নিয়ন্ত্রণই শুধু নয়, পাশাপাশি করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই টিকা কার্যক্রমে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করলেও চীন পাশে দাঁড়ায় করোনা টিকার ডালা নিয়ে। এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করে। ফলে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রমে অনেকদূর এগিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত দেশের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। একাদশ সংসদের ১৫তম অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে। বেশিরভাগ টিকা দেয়া হলেও এখনো অনেক টিকা মজুত রয়েছে। চীন থেকে ১৫ কোটি ২১ লাখ ডোজ টিকা (৭ কোটি ৭০ লাখ ডোজ সিনোফার্মা, ৭ কোটি ৫১ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক), ভারত থেকে ৩ কোটি কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডোজ সিনোফার্মের টিকা কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে টিকা দিয়েছে।
মূলত অদৃশ্য করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে গোটা বিশ্ব ছিল অন্ধকারে। নতুন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি টিকা আবিষ্কারে নেমে পড়েন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ এক বছর চেষ্টার পর প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে সমর্থ হন চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। টিকা আবিষ্কারের খবর প্রচার হওয়ার পর পরই বিশ্বের ধনী দেশগুলো নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য আবিষ্কৃত টিকার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কিনে নেয়। ফলে মধ্যম আয় ও গরিব দেশগুলো করোনাভাইরাসের টিকা পেতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, গরিব দেশগুলোর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমন অবস্থায় চীন সরকার বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টিকা ক্রয়ে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট ৩ কোটি টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার কথা। কিন্তু ৭২ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার পর হঠাৎ করে মোদি সরকার সেরামের টিকা বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ জানুয়ারি ৩ জন নার্সকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়। অতপর ৮ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের মোদি সরকার সেরাম থেকে ক্রয় করা টিকার চালান বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় গণটিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করে। চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। চীন প্রথমে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়। অতপর বাংলাদেশের কাছে কম দামে চীনের দুটি কোম্পানী টিকা বিক্রি করে। চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে দামে সিনোফার্মার টিকা বিক্রি করে বাংলাদেশে তার অনেক কম দামে টিকা বিক্রি করে। এখনো চীন থেকে বাংলাদেশে টিকা আসছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩৬টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৯১টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ১০৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার ৬৬২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৫ হাজার ৭৮৪ জন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে কমেছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু, সেই সঙ্গে বেড়েছে এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা। মহামারি শুরুর পর থেকে প্রাণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯২ হাজার ১২০ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৭ হাজার ৪৬১ জন। আগের দিন বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ২১ হাজার ১৮৭ এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩৬৪। অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৯ হাজার ৬৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ৯০৩ জন। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিকে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৮২৯ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩২ জন। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশগুলো হলো- জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ৫৯ হাজার ২৬৬, মৃত্যু ২৩০), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৪৪ হাজার ২৪২, মৃত্যু ১৫৭), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৩৭ হাজার ১৫৬, মৃত্যু ১ হাজার ২৫৪), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ৮১০, মৃত্যু ২১৮), পোল্যান্ড (নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ২৪২, মৃত্যু ৪০৩), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২১ হাজার ২২০, মৃত্যু ৫০) এবং ইউক্রেন (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ৫০, মৃত্যু ৪০৩)। একদিনে সারাবিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৭ জন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৩ জন। ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৩১১ জন। এ রোগে মারা গেছেন মোট ৫১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৮ জন। এছাড়া, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৩ কোটি ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।