পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কালুরঘাট সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক উঠে যায় রেলিংয়ে। আর রাতে টানা দুই ঘণ্টা অচল থাকে সেতু। দুই পাড়ে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় শত বছরের পুরোনা একমুখী জরাজীর্ণ এই সেতুতে প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে বোলায়খালী, পটিয়া উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষকে নিত্য দুর্ভোগের মুখোমুখী হতে হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, বোয়ালখালী থেকে নগরীতে আসার পথে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে উঠে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এসময় দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। সকালে অফিস শুরুর সময় হওয়ায় কর্মজীবীদের হেঁটে সেতু পার হতে হয়েছে। আবার সেতুর দুই পাশে দীর্ঘজটের কারণে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ে। সকাল সাড়ে দশটার পর ট্রাকটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে যানজট স্বাভাবিক হতে আরো ঘণ্টা খানেক সময় লাগে।
কালুরঘাট সেতু হয়ে যাতায়াতকারীরা বলছেন, তাদের প্রতিদিনই এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। রেল সেতুটিতে ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহনও চলে। বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের একাংশের বন্দরনগীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। এছাড়া লক্করঝক্কর সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ঝুঁকি তো আছেই। কালুরঘাট রেল সেতুর পাশে আরো একটি সেতুর নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সে দাবি কবে আদায় হবে তা জানেন না ওই এলাকার মানুষ।
ট্রেন চলাচলের জন্য ৭০০ গজ লম্বা সেতুটি ১৯৩০ সালের ৪ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরে ১৯৫৮ সালে সবরকম যানবাহন চলাচলের যোগ্য করে সেতুটির বর্তমান রূপ দেওয়া হয়। ৯১ বছরের পুরোনো সেতুটির যন্ত্রণা থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীকে মুক্তি দিতে ওই সেতুর পাশে আরো একটি সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে এক হাজার ১৬৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের মার্চে কাজ শুরু করে ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে একনেক বৈঠকে নকশায় ত্রুটি ধরা পড়ার পর কার্যত সেই উদ্যোগ থেমে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।