Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রেনেড হামলাকারীরাই পুজামণ্ডপে কোরআন রেখে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলো

খুলনায় ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছিল তারাই পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিলো। এটা এখন স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

গতকাল শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বিভীষিকাময় বিকেলের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি নিছক একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ছিল না। এটা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায়ই ২১ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য, ক্ষমতার রাজনীতিতে দলটিকে অকার্যকর করার জন্য। কিন্তু এই কাজে যে জঙ্গিগোষ্ঠীকে হায়ার করা হয়েছিল। তারা সম্ভবত তাড়াহুড়া করতে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ নেতাদের জীবন রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ কমপক্ষে ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ তিনশত বেশি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য সিপ্লন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। ২১ আগস্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোনোও অপরাধ সংঘটিত হলে প্রাথমিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গ্রেনেড হামলার মতো এতবড় অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা এবং আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি তৎকালীন সরকার সম্পাদনে কেবল চরমভাবে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়নি বরং ঘটনা প্রবাহ অন্যখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাই চালিয়েছে।
সে সময়ে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘হাওয়া ভবনে’ তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উপস্থিতিতে হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এটাও আমাদের জানা আছে যে, তখন সরকার জজ মিয়া নামের একজন ছিঁচকে অপরাধীকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সরকার তখন শৈবাল সাহা পার্থ নামের একজনকে গ্রেফতার করেও নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি ইলিয়াস হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। আরো বন্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোস্তফা চৌধুরী (প্রেসিডিয়াম সদস্য), আলহাজ্ব মো. শাহিন খান (প্রেসিডিয়াম সদস্য), মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কাশেমি, মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, ক্বারি মোহাম্মদ ইমদাতসহ শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ