Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাব্যতা সঙ্কটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ীর জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুট

মো. নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

পদ্মা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটে রাজবাড়ী সদর উপজেলার জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নৌরুটে ব্যবহারকারী সাধারণ যাত্রী, যানবাহনের চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঘাট কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ গত ৮ নভেম্বর থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন।
জানা যায়, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যাতায়াতের সহজ পথ হলো এই নৌরুট। নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোর সকল পরিবহন ও যানবাহন পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জৌকুরাঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১ কি.মি. অদূরে পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে ২টি ফেরি ও ১টি পল্টুন অবস্থান করছে। যানবাহন ফেরির পল্টুনে উঠার র‌্যামটি পল্টুনে ওপরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। অপর দিকে জৌকুরাঘাট প্রান্ত থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালক, আরোহী ও সাধারণ যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন।
ট্রলারে নদী পাড় হওয়া যাত্রী শফিকুল আলম, হারুন মোল্লা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে চলাফেরা করতে গেলে নদীতে ট্রলার খুব ঢুলতে থাকে। উপায়হীন হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার মতো শত শত যাত্রী ও চালক নদী পারাপার হচ্ছেন।
জৌকুরা ঘাটের ইজারাদার মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ বলেন, পদ্মা নদীতে চর জেগে উঠায় নৌরুটে চলাচলরত ফেরিগুলো স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদীর পানি কমলে সঠিক স্থানে ফেরির পল্টুন ও র‌্যাম স্থাপন করা হলে নৌরুটটিতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার ঘুরে কুষ্টিয়া হয়ে পাবনাসহ অন্যান্য জেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ফেরি ঘাটটি চলাচলের উপযোগী স্থানে স্থানান্তর কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। জৌকুড়া প্রান্তে পদ্মা নদীর পানি আরও হ্রাস পাওয়ার পর উপযুক্ত স্থানে ঘাট স্থানান্তরের পরপরই ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ