Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দিতে তৃণমূলের অভিযোগ

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

সাতক্ষীরা সদরের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টিতে পরাজিত হয়েছে আ.লীগ প্রার্থী। বিতর্কিতদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় নৌকার চরম ভরাডুবির কারণ হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে কোন বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দিতে অনেক দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেছেন আ.লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌড়ের ওপর রয়েছেন। নৌকাপ্রতীক পাওয়ার জন্য লবিং করছেন বিভিন্ন দপ্তর ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী এমপি ও স্থানীয় জেলার নেতাদের ম্যানেজ করে বিতর্কিতদের মনোনয়ন দেওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সাতক্ষীরায় নৌকার চরম ভরাডুবি হয়েছে।
বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দিতে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন আশাশুনি উপজেলার ৮নং খাজরা ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল কুদ্দুস মোল্ল্যা। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম গেজেটভুক্ত যুদ্ধপরাধী মামলার আসামি মোজাহার সরদারের ছেলে। ডালিমের পরিবারের সবাই সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বড় ভাই আব্দুল আলিম ছিলেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক। চেয়ারম্যান ডালিম আ.লীগ নেতা শরবত আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে বোমা বিস্ফোরণ, আগুনে পুড়িয়ে হত্যাসহ একাধিক চার্জশিটভুক্ত হত্যা, চাঁদাবাজির মোট ১৫টি মামলা ও ৫টি জিডি রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তোলন, ৯টি ওয়ার্ডে ভুয়া ব্যক্তিদের নাম দিয়ে ভিজিএফসহ ৬নং ওয়ার্ডের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ১০৮ জন হিন্দু পরিবারের ভুয়া নাম দিয়ে বরাদ্দকৃত ত্রান আত্মসাৎ মামলা দুদকে তদন্তাধীন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দুস জানান, ডালিম নৌকার মনোনয়ন চাওয়ায় ফুঁসে উঠেছে তৃণমুলের নেতা-কমীরা। মনোনয়য়ন না দিতে তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, পিতা মোজাহার সরদারের বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ এনে একটি মহল যে অভিযোগ করেছিলেন, সেই অভিযোগ তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি রাজাকার ছিলেন না মর্মে গত ১০ অক্টোবর উপজেলা থেকে তদন্তকারী কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৫টি নয়, ৬টি মামলা ছিল, তিনটি খারিজ হয়েছে গেছে। তিনি এবারও নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চান। এদিকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতর্কিত গাজী শওকাত হোসেনকে কেন্দ্র থেকে নৌকার মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মুখে তার মনোনয়ন পরিবর্তন করে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ