কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নৌকাপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোস্তফা কামাল নাড়ু হাজী (৫০) আহত হয়ে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মথুরাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মথুরাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল নাড়ু হাজী নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় আওমালী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সরদার হাসিম উদ্দিন হাসুর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোস্তফা কামাল নাড়ু হাজীসহ ৩জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, হোসেনাবাদ বাজারে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এক প্রার্থীসহ বেশ কয়েক আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে ওসি স্যার গিয়েছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের মামলা নেয়া হবে।
অপরদিকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিষ্ফোরণ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২জন আহত হয়েছেন। দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর দাসপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ইউপি নির্বাচনে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই মেম্বর বা সদস্য প্রার্থী সালামত ও আব্দুল হান্নানের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষে লিপ্তরা পালিয়ে যায়। সংঘর্ষে অন্তত দুইজন আহত হলে পলান (৪৫) নামে একজনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে পিয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ লালু বলেন, দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।