Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিযোগেও সমাধান নেই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ৪:২৫ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের নিচ তলার বাথরুমগুলো দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। হলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এবং হল প্রভোস্টের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও মেলেনি কোন সমাধান এমন দাবি শিক্ষার্থীদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের নিচ তলার শৌচাগার গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় মল গুলা উপচে বাথরুমের বাহিরে চলে আসে। বাথরুমে দরজার অধিকাংশ ছিটকানী নষ্ট। ফলে বাথরুমে বসে দরজাটাও লাগানো যায় না। প্রসাবের জায়গাতে পানি জমাট হয়ে থাকায় প্রসাব নিষ্কাশন হতে পারে না। গোসলের রুম গুলাতে ট্যাপ এবং ঝরনাগুলোর অধিকাংশই নষ্ট। এছাড়াও ঠিকমত পানি পড়ে না ঝরনাগুলো থেকে। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য হলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দিলে তারা সুইপার দিয়ে পরিস্কার করে দেন। কয়েক ঘন্টা পর পূর্বের ন্যায় সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলতে থাকার পর ও হল কর্তৃপক্ষ এর স্থায়ী কোন সমাধান নিচ্ছে না এমন দাবি শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের নিচতলার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হল কর্তৃপক্ষকে বারবার অবিহিত করার পরেও তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা প্রায় ৪ বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। কিন্তু এবছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের দেওয়া ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইবির ৮টি হলের সংস্কার কাজ চলছে। হল খোলার আগেই এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিলো। এত টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও শৌচাগার গুলোর সমস্যা সমাধানের স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। ফলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল হলে প্রবেশ করার পর রাত্রীতে শোচাগারে গিয়ে দেখি বেহাল অবস্থা। পানি ও মল নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাথরুমে প্রবেশ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় তলার বাথরুমে গিয়ে জরুরত মেটাচ্ছে অধিকাংশ ছাত্র। আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি এই হলের শৌচাগার দ্রুত সংস্কার করে দুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মনজুরুল হক বলেন, “বিষয়টা আমাদের নলেজে আছে এবং আমাদের সংস্কার কাজের লিস্টেও আছে। আমরা এটি অতি দ্রুত সংস্কার করবো।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ