মাদারীপুরের কালকিনির চরদৌলত খান ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি বোমা হামলায় আলমগীর হোসেন প্যাদার (৫৬) নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের ৬ নংওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার মন্নান মোল্লাকে প্রধান আসামী করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় চর দৌলতখানের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আলমগীর হোসেন প্যাদা মারা গেলে মৃতের স্ত্রী ফারহানা বাদী হয়ে কালকিনি এ হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলা নং ১৪ তারিখ ১৬-১১-২১। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা ইসতিয়াক আসফাক রাসেল।
গত ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে সিডি খান ইউনিয়নে আওয়ামীলীগে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. চান মিয়া শিকদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষই বোমা বিস্ফোরণ করে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। আহতদের প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মোহাম্মদপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সোমবার ভোরে চরদৌলত খান গ্রামের জয়নাল প্যাদার ছেলে আলমগীর হোসেন প্যাদা (৫৬) মারা যায়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল আরো বলেন, বোমা হামলার ঘটনায় ১১ নভেম্বর আসামী খায়রুল কবিরাজ (২৬) ও সোহেল বেপারী(৩৫) কে ফৌ: কা: বি: ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করার পর গতকাল বুধবার ওই ২জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে । আসামীরা পলাতক রযেছে । বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রাখা আছে।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এজাহার নামীয় আসামীদের অধিকাংশরাই এক সময় বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন।