পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রিয় রাসূল (স.) এর মাধ্যমে নবুয়্যত এর ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে মানুষকে তৌহিদের দিকে আহবানের জন্য নবীজির উত্তরসূরী হিসাবে বেলায়তের অধিকারী ব্যক্তিত্বরা এ মহান দায়িত্ব পালন করছেন। যুগে যুগে নবীর নূরের মাধ্যমে ক্বলবকে আলোকিত করে নফ্স দমনের শিক্ষা দিতে এ মনীষীগণ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে ৬৮তম পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দরবার শরীফের শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদে জোহর পবিত্র খতমে কোরআন, সাংগঠনিক আলোচনা, বাদ আছর ফয়েজ-এ কোরআন, খতমে ইউনুচ ও দরূদে সাইফুল্লাহ, বাদ মাগরিব মোরাকাবা, পবিত্র নাতে মোস্তাফা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। বাদ এশা পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ, কিয়াম, আখেরি মোনাজাত এবং তাবারুক বিতরণ। মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।