রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ ২২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আট ভাগের একভাগ ভোটও পাননি বলে জানা গেছে।
জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারা হলেন- ধামরাই সদর ইউনিয়নের আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাবুদ্দিন, জাতীয় পার্টির আব্দুল হাদী, কুল্লা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির জানিফ হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে জিয়াউল হক, আব্দুর রাজ্জাক, সোমভাগ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ইমরান খান, গাংগুটিয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের মনিরুল হক, বাইশাকান্দা ইউনিয়নে সোহরাব হোসেন ও যাদবপুর ইউনিয়নে আসলাম হোসেন।
আমতা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির খোরশেদ আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিম আকরাম রাজা, মাহবুব আলম, চৌহাট ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ইউসুফ আলী, মোশারফ হোসেন, আবু সাঈদ, সুয়াপুর ইউনিয়নের মাহফুজুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ খান, হাফিজুর রহমান, আনোয়ারুল হক খান, রোয়াইল ইউনিয়নে আবুল কালাম সামসুদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলনের শামছুল ইসলাম জামানত হারান।
সুয়াপুর ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ খান ও রোয়াইল ইউনিয়নের আবুল কালাম সামসুদ্দিন নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই নৌকার প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, প্রদত্ত ভোটের আটের একভাগ ভোট না পেলে নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারা কেউ কাঙ্খিত ভোট পাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।