বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিসি। এরপর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হাসান আজিজুল হকের জানাজায় অংশ নেন তিনি। জানাজা নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল। তিনি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ বাংলা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় জ্বালিয়েছেন আলোর মশাল।’
তিনি বলেন, ‘মানবসত্তার জীবনসংগ্রামকে উপজীব্য করে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে তিনি লেখনীর মাধ্যমে যেমন বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত বিস্তৃত করেছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, আদর্শ রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রগতিশীল বহু সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলনেও তিনি সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর কাছে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ চিরঋণী হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো, তা কখনোই পূরণ হবার নয়। এই 'আগুনপাখি' এর আলোকিত সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন অনুষঙ্গে তিনি আমাদের মাঝে চির অমলিন হয়ে থাকবেন। তিনি আমাদের আগামী প্রজন্মের মধ্যে অনুপ্রেরণ হয়ে বেঁচে রইবেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাসান আজিজুল হকের মরদেহ ক্যাম্পাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যদিয়ে যে বিরল সম্মান দেখিয়েছেন সেটি অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সঠিক।’ ভিসি মরহুম এই কথাসাহিত্যিকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।