বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিলামে তোলা ১১২টি গাড়ির মধ্যে ১১০টি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে নিলামকারীরা। ৩ ও ৪ নভেম্বর অনলাইনে এবং দেশের পাঁচটি স্থানে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫৫১ নিলামকারী দরপত্রে অংশ নেয়। সোমবার ১১০ গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা প্রকাশ করে কাস্টমস কতৃপক্ষ। পর্যটকদের বিশেষ সুবিধার (কার্নেট ডি প্যাসেজ) আওতায় আনা বিলাসবহুল এসব গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার, লেক্সাস, টয়োটা, ফোর্ড, হোন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি এসব গাড়ি (জিপ ও কার) নিলামে তোলা হয়। এখন নিলামের দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দেওয়া যৌক্তিক দর পর্যালোচনার পর বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মো. আল-আমীন বলেন, সোমবার সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছি। মোট ৫৫১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ১১০টি গাড়ির জন্য দরপত্র দিয়েছিল। যৌক্তিক দর পর্যালোচনার জন্য এসব গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ১১২টি গাড়ির জন্য এবারে সংরক্ষিত দর ছিল ১৮০ কোটি টাকা। গাড়ির আমদানি মূল্য ও অবচয় সুবিধা ধরে শুল্কসহ মোট দাম ধরা হয় সংরক্ষিত মূল্য হিসেবে। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে বিএমডব্লিউ ২৮টি, মার্সিডিজ বেঞ্জ ২৪টি, ২৩টি মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার ১২টি, লেক্সাস ৯টি, টয়োটা ৪টি। এবারে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের ফারজানা ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দিয়েছে, একই মডেলের আরেকটি একটি গাড়ির দাম ওঠে ৫০ লাখ টাকা। মিতসুবিশির একটি গাড়ির দাম একটি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। অন্য সময়ে নিলামে ল্যান্ডরোভার গাড়ির দর বেশি উঠলেও এবার ওই ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম ওঠে মাত্র ২৮ লাখ টাকা। কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধা, শুল্ক ফাঁকি এবং মিথ্যা ঘোষণায় আনার পর এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। নিলামে ওঠা গাড়িগুলো ১৫-২০ বছর আগে আনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।