পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং টঙ্গী ব্রিজ ভাঙার কারণে যানচলাচল বন্ধ থাকায় গতকাল রাজধানী জুড়েই ছিল ভয়াবহ যানজট। এতে পরীক্ষার্থী এবং অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। এসএসসি ও সমমানের পকরীক্ষার প্রথম দিন থাকায় সকাল ৭টার পর থেকেই রাজপথে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বেলা যত বাড়ে সড়কগুলোতে যানজটও বেড়ে যায়। সেই সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে পরীক্ষার্থীসহ অফিসগামীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। যানজটের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী গাড়ি ছেড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই হলে পৌঁছে। বিকেলে ঘরমুখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অফিস ফেরত নারী ও পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি ছিল উদ্বেগজনক।
এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকা অভিমুখী লেনের টঙ্গী ব্রিজের পলেস্তরা গত ৯ নভেম্বর খসে পড়েছে। ঝুঁকি এড়াতে বিআরটি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা ১০ নভেম্বর রাত থেকে ঢাকা অভিমুখী লেনটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে সড়কটিতে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ঢাকামুখী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে রাজধানীতে প্রবেশ করায় সড়কের টঙ্গী ব্রিজ এলাকায় যানজট অসহনীয় হয়ে উঠছে।
বিআরটি এর নির্মাণ কাজের জন্য এমনিতেই টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এক লেন। তার ওপর ব্রিজ ভাঙার ফলে গাড়ির চাপ বর্তমানে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো এখন সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে। আর ঢাকার গাড়িগুলো কামারপাড়া সড়ক দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। ফলে অনেক সময় লাগছে এবং জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
গত প্রায় ১ মাস ধরে নাগরবাসী রাজধানীকে যানজটের সেই চিরচেনা রূপে দেখছেন। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি প্রধান সড়কই যানবাহনে ঠাসা। তীব্র যানজটে গতকালও রাজধানীবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে টঙ্গি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় গত ১০ নভেম্বর থেকে যানবাহন বন্ধ থাকায় বিমানবন্দর-উত্তরা সড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট আশুলিয়া সড়কে সাভার ছাড়িয়ে যায়। ফলে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও যানজটের সেই পুরানো চিত্র। গতকাল মিরপুর রোড, বিজয় সরণি, তাজউদ্দীন সড়ক, পল্টন, গুলিস্তান, মৌচাক, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানী জুড়ে ছিল তীব্র যানজট। অনেক স্থানে ফ্লাইওভারের ওপরও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। আধা ঘণ্টার পথ চলতে নগরবাসীকে ব্যয় করতে হয় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। অনেকে অবস্থা বেগতিক দেখে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বিপণিবিতান সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর চিত্র ছিল ভয়াবহ। রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ফার্মগেট থেকে শাহবাগ হয়ে পল্টন-মতিঝিল পর্যন্ত এলাকায় মেট্রোরেলের কাজের কারণে সড়কটি এমনিতেই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কটিতে যানবাহন দ্রুত চলতে পারে না। বড় বিপণিবিতানগুলোর আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে যানজট। সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় এবং এসএসসি পরীক্ষা থাকায় রাজপথে ছিল বাড়তি যানবাহনের চাপ। মিরপুর রোড, পান্থপথ, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায় ছিল নাজুক অবস্থা। পল্টন মোড় থেকে আশপাশের প্রতিটি সড়কে ছিল যানজটের ভয়াবহ চিত্র। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল পয়েন্ট থেকে শুরু করে কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত প্রায় পুরো ফ্লাইওভার ছিল যানবাহনে ঠাসা। গুলিস্তানে হানিফ ফ্লাইওভারেও ছিল ভয়াবহ যানজট।
সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলেছে ধীরে ধীরে। আর কাকরাইল থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে ছিল সীমাহীন ভোগান্তি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে রিকশা-ভ্যানের জট পাকিয়ে অবর্ণনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক সিগন্যালে চতুর্মুখী যানজট লেগে যাওয়ায় ট্রাফিক সদস্যদের অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।
শান্তিনগর কর্নফুলিগার্ডেন সিটির এক দোকানের কর্মচারী সোহাগ গোরান এলাকা থেকে প্রতিদিন মালিবাগ মোড়ে যান। গতকালও সেভাবেই সকাল সাড়ে নয়টায় বাসা থেকে বের হয়ে টেম্পুতে উঠেন। সেই টেম্পু মালিবাগ সাড়ে ১০টা বেজেছে। যেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে সেখানে ১ ঘণ্টা সময় লেছে। মিরপুরের শিয়াল বাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তা পিয়াল অফিস করেন ফার্মগেট। তিনি বলেন, মিরপুর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়কটিতে গত দেড়-দু’বছর ধরে যাটজট লেগেই থাকে। তবে গতকাল সেটা আরও তীব্র ছিল। মিরপুর থেকে অফিসে পৌঁছাতে তার প্রায় দেড়ঘণ্টা সময় লেগেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।