পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন সপরিবারে কীভাবে দেশ ছাড়লেন? এ প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আজ দুপুরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এ সময় দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান আদালতে যুক্ত ছিলেন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এসএম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে নতুন করে আরও ৮২৯ কোটি টাকা জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। এ অবস্থায় এসএম আমজাদ হোসেন কি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তা সোমবার দুপুরের মধ্যে জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সরকারি এই আইনজীবী আরও জানান, আমজাদ হোসেন সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন-সম্প্রতি এরকম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। প্রতিবেদনটি আদালতের দৃষ্টিতে আনা হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসএম আমজাদ হোসেন স্থল সীমান্ত দিয়ে ৩ নভেম্বর ভারত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া আমজাদ ও মেয়ে তাজরির আমজাদও রয়েছেন। তার পারিবারিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আমজাদ হোসেনের দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি তার সব ব্যাংক হিসাব জব্দ (অ্যাকাউন্ট প্রিজ) করেন আদালত। সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন।
আমজাদ হোসেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন আমজাদ হোসেন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতে একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। পাচার করা বিপুল অঙ্কের অর্থে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রাসাদ গড়েছেন। আমজাদ হোসেনের নামে দুদকে নতুন করে আরও ৮২৯ কোটি টাকা জালিয়াতির তথ্য মিলেছে।
এর কয়েকদিন আগে আরও ৪৩০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। সব মিলিয়ে তার জালিয়াতি করা অর্থের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে ৯ কর্মচারীর নামে তার ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করেছেন-মর্মে প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পর আমজাদ ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ৯৩৫টি ব্যাংক হিসাব জব্দের (ফ্রিজ) আদেশ দেন আদালত। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এসএম আমজাদের দুর্নীতির বিষয় অনুসন্ধান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।