পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বাস ও লঞ্চ ভাড়া বেড়ে গেছে। বাজারে বেড়ে গেছে প্রতিটি পণ্যের মূল্য। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষ ও কৃষকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু ও ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে তেলের দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘অহেতুক তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে’। সিডিডি তেলের দাম আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থি বুদ্ধিজীবীরা তেলের দাম বৃদ্ধির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ‘সরকারের ভেতরেই প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ নষ্টের অপচেষ্টা চলছে’ এমন অভিযোগ তুলেছেন। একজন সচিব এক সেমিনারে ‘তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক কারণে’ মন্তব্য করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের কর্মরত কিছু কর্মকর্তা কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন’। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে টালমাটাল অবস্থা চলছে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে রেলমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ‘ডিজেলের দাম বাড়লেও রেলের ভাড়া বাড়ানো হবো না’। সর্বিক পরিস্থিতি যখন এমন, তখন সিএনজি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, গত জুন মাসে বিদ্যুৎ ও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর এক বছর হয়নি। ৬ মাস যেতে না যেতেই আবারো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশলের উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। হঠাৎ করে তা বাস্তবায়ন হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ১১ বছরে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ১০ বার। এতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আর খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। সরকারি ও বেসরকারি উৎস থেকে বাড়তি দামে বিদ্যুৎ কেনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, আমরা কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছি। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক রকমের বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল, গ্যাস ও কয়লার এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো অবস্থানের দেশগুলোকেও বিপাকে ফেলেছে। আমরাও এর বাইরে না। জ্বালানির অপর্যাপ্ততার কারণে ভারত ও চীনের মত দেশও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমরা এখনও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদনের জন্য নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছি।
দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের সিংহভাগ আসে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের দামও বাড়বে। বাজারে এমনিতেই সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে ডিজেলের দাম। তাতেই গণপরিবহনের ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ আরও ভোগান্তিতে পড়বে। সরকার জরুরি অবস্থা সামাল দিতে একটি তহবিল গঠনের কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে এলেও তা করা হয়নি। এরকম তহবিল করা গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়লেও অন্তর্বর্তীকালীন সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় বলে মনে করছেন জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দেশে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার হচ্ছে না। বিদ্যমান ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন কমছে। ফলে ক্রমান্বয়ে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ছে দেশ। অর্থাৎ বিদেশ থেকে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। ভবিষ্যৎ গ্যাসের চাহিদা পূরণে ওই বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সংস্থানের চেয়ে গ্যাস অপচয় রোধেই বেশি জোর দেওয়া হয়। আবার সংসদীয় কমিটি গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে। আসন্ন শীত মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তবে কমছে গ্যাস উৎপাদন। আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে। এ অবস্থায় শীতে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বাড়তি চাহিদা মেটানোর মতো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। আসন্ন শীত মৌসুমে তীব্র গ্যাস সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিইআরসির গণশুনানির সময় ক্যাব গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে কমানোর যুক্তি উপস্থাপন করা হলেও তা বিইআরসি আমলে নেয় না।
গত ৭ মাসেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কিনতে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে সরকার। এরই মধ্যে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও গ্যাসের দামের বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্ষতির মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা কঠিন বলে মনে করছে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। আর গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের দামও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর শীতের সময়ে এমনিতেই গ্যাসের চাপ কমে যায়। এতে সরবরাহ লাইনে গ্যাস বাড়িয়ে চাপ বাড়াতে হয়। না হলে শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া শীতে গ্যাসের বাড়তি চাহিদাও তৈরি হয়। গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন গড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের (এমএমসিএফডি) চাহিদা থাকে ৩ হাজার ঘনফুট। শীতকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ ঘনফুটে। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে চাহিদা বাড়ে ১২০০ ঘনফুট। অর্থাৎ ৪০ শতাংশ চাহিদা বাড়ে শীতে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গ্যাসের চাহিদা নিরূপণ করতে জুনে এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহ নিরূপণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কমিটিকে। মন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই চাহিদা গড়ে ১০০ থেকে ৫৫০ এমএমসিএফডি ঘনফুট। এ ঘাটতি শুধু পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে। বর্তমানে দেশে যে সরবরাহ করা হয়, তার মধ্যে পিডিবির একার চাহিদাই প্রায় ১৫০০ ঘনফুট। যদিও সরবরাহ করা হয় গড়ে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ বছরে দেশে মাত্র ২৮টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে চারটি। নোয়াখালীর সুন্দলপুর, কুমিল্লার শ্রীকাইল ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ক্ষেত্রগুলোতে মজুত তেমন বেশি ছিল না। বেশিরভাগই উত্তোলন হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে ভোলায় একটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেছে। বর্তমানে দেশে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে প্রতিদিন ২ হাজার ৯০০ ঘনফুটের মতো। ঘাটতি রয়েছে ১৩০০ ঘনফুট। ঘাটতি ৩১ শতাংশ। চাহিদার বিপরীতে গ্যাসের জোগান দিতে হলে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার ঘনফুট এলএনজি আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস আমদানি করতে পারছে না। তবে জাতীয় গ্রিডে গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিটের (২৭ দশমিক ৯৬ ঘনমিটার) দাম গত বছরের মার্চে ছিল ৫ ডলার। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ ডলারে। এখন তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ ডলারে। এই বাড়তি দরে পেট্রোবাংলা আমদানি করতে চায়নি। কিন্তু এখন শীতের কারণে ঘাটতি প্রকট হওয়ায় আমদানি শুরু করেছে। এতে স্পটভিত্তিতে গ্যাস কিনছে সংস্থাটি।
শীতের শুরুতে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার ও শিল্প-কারখানায় গ্যাসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এতে সক্ষমতা থাকলেও পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছে না গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। কোনো কোনোটি দিনের পর দিন বন্ধই রাখতে হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোতে নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির আবেদনের স্তূপ পড়েছে। সরবরাহ না থাকায় এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে সাড়ে ৩ হাজার ৪২ ঘনফুট এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু বিতরণ করা হয়েছে ২৯১৩ ঘনফুট এমএমসিএফডি। এরমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয় ১০৯১ ঘনফুট। যা মোট গ্যাস বিতরণের ৩৭ শতাংশ। যদিও পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর দিনে চাহিদা ছিল ২২৫২ ঘনফুট গ্যাস। এছাড়া সার কোম্পানিগুলোর দিনে চাহিদা ছিল ৩১৬ ঘনফুট গ্যাস। বিতরণ করা হয়েছে ১২৮ ঘনফুট। বিতরণের ৪ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য সব খাতে বিতরণ করা হয়েছে ১৬৯৫ ঘনফুট গ্যাস। মোটা বিতরণের ৫৮ শতাংশ। বর্তমানে পেট্রোবাংলার অধীনে ৬টি বিতরণ কোম্পানি সারা দেশে গ্যাস বিতরণ করছে। এরমধ্যে শুধু তিতাসের চাহিদা ১৫৯৮ ঘনফুট। এরমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৭৫০ ঘনফুটের বিপরীতে ২৯৯ ঘনফুট গ্যাস বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া সার কারখানায় ১০৪ ঘনফুটের বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৮ ঘনফুট গ্যাস। আর বেসরকারি খাতে শিল্পকারখানায় বিতরণ করা হয়েছে ১২৯৩ ঘনফুট। যদিও এ খাতে চাহিদা ছিল ১৬০০ থেকে ১৮০০ ঘনফুট। বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ৫০১ ঘুনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ করেছে ২০৯ ঘনফুট। সার কারখানাগুলোর চাহিদা ৫২ ঘনফুট থাকলেও এই খাতে কোনো গ্যাস দেওয়া হয়নি। বেসরকারি শিল্পকারখানায় বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৮৮ ঘনফুট। জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অধীনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে চাহিদা ছিল ৩৯৫ ঘনফুট। এর বিপরীতে বিতরণ করা হয় ২৫২ ঘনফুট। সার কারখানায় বিতরণ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ঘনফুট। চাহিদা ছিল ৪৫ ঘনফুট গ্যাস। আর শিল্পকারখানায় বিতরণ করা হয়েছে ১০৩ ঘনফুট গ্যাস। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে ১২৯ ঘনফুট গ্যাস বিতরণ করা হয়েছে। কোম্পানির চাহিদা ছিল ৩০০ ঘনফুটের বেশি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর জন্য ১৮৫ ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৩৬ দশমিক ৬ ঘনফুট। সার কোম্পানিগুলোতে চাহিদা ছিল ১১৫ ঘনফুট, বিতরণ করা হয়েছে ৭৯ দশমিক ৫ ঘনফুট। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিতে এই দিন বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৯৫ দশমিক ৬ ঘনফুট। চাহিদা ছিল ২০০ ঘনফুটের বেশি। ৪টি কোম্পানির অধীনে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড থেকে উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ ৬৩৩ দশমিক ৪ ঘনফুট। সিলেট গ্যাস ফিল্ডে ৮৭ ঘনফুট, বাপেক্স থেকে ৮৪৬ দশমিক ৫ ঘনফুট। আন্তর্জাতিক কোম্পানি শেভরণ ও তাল্লর গ্যাস কূপগুলো থেকে উৎপাদিত হয়েছে ১৫৫৪ ঘনফুট এবং আরপিজিসিএল থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৬৪১ ঘনফুট গ্যাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।