রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চুক্তি মেয়াদে শেষ হচ্ছে না যশোর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ। ১৫ মাসে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ ভাগ। হাতে সময় আছে মাত্র দুই মাস।
এই সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব নয় জানিয়ে অতিরিক্ত দেড় বছর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজে ধীরগতি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কটি ব্যবহারকারীরা। সড়কের বালু ও ধূলিঝড়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। সড়ক নির্মাণের মান নিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর-চুকনগর সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার। সড়কটি যশোর সদর ছাড়াও জেলার মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে চুকনগরে গিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সঙ্গে মিশেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানি করা পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। খুলনার পাইকগাছা ও কয়রার মাছ রপ্তানির প্রধান রুট ও ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনসহ নিয়মিত অন্যান্য যানও চলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে। এক কথায় যশোর-খুলনা ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দুটির বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যশোর-চুকনগরের ৩৮ কিলোমিটারের সড়কটি।
যশোর-চুকনগর সড়কটি যানবাহনের চাপে বছরের বেশির ভাগ সময়ই ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। যে কারণে প্রতি বছরই সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এভাবে কয়েক দফা সংস্কার করার পর সড়কটিকে ফোর লেনে উন্নত করণে সরকার ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর একনেকের সভায় ৩শ’ ৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাশ করেন। এরপর যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সড়কটি উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়কটিতে নতুন করে ভিত নির্মাণের মাধ্যমে দুই লেনে ১০.৩০ মিটার বা ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সড়ক উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে ১১.৬০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ, রিজিড পেভমেন্ট এক হাজার ৩০০ ফুট, সড়কে তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, আরসিসি পিটসহ ইইউ ড্রেন নির্মাণ দুই হাজার ৬০০ ফুট, রক্ষাপ্রদ কাজ (আরসিসি প্যালাসাইডিং) দুই হাজার ৫৬৭ ফুট, ইন্টারসেকশন একটি ও একটি দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ। যার পরিধি হবে ১৫শ’ স্কয়ার ফুট। এর মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি ২৮লাখ টাকা।
২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে শুরু হয় সড়কটির নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা চলতি বছর ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর। প্রকল্পটির কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার পর কয়েক দফায় বৃষ্টির মুখে পড়ি। এতে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। তা ছাড়া বরাদ্দের টাকা সময়মত না পাওয়ায় কাজ বিলম্ব হয়। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘গত বছর সড়কটি নির্মাণের জন্য ৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছিলো। চলতি বছর এ বরাদ্দ এসেছে আরও ৭০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বরাদ্দের টাকায় সড়কের ৫০ শতাংশ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে কাজের গতি কমে যায়।’
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘সংস্কারকাজ চলাকালীন কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য কাজটি শেষ করতে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বর্ধিত সময়ের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সড়কটির মূল কাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে সড়কের শ্রী বর্ধনের কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।