Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রীকে কুপিয়ে আঙুল বিচ্ছিন্ন শাশুড়ি-শ্যালিকাকেও জখম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার সোহাগপাড়া এলাকায় তার শশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এই পর সাইফুলকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা হলেন সাইফুলের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৮) শাশুড়ি নাছিমা বেগম (৪০) ও শ্যালিকা শিমু আক্তার (১৪)। তাদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্ত্রী সুমাইয়া অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আটক সাইফুল উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ছয় মাস আগে সোহাগপাড়া এলাকার খাইরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়ার সাথে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাইফুল তার উপার্জিত অর্থ বাবার কাছে পাঠায়। বিয়ের পর থেকে সাইফুল আর্থিক সঙ্কটে পড়লেও তার বাবা তাকে টাকা পয়সা দিয়ে কোনো সহযোগিতা করেনি।
স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে না পারায় মাত্র তিন মাস পরেই সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকে গত তিন মাস ধরে সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এদিকে বাবার কাছে আর্থিকভাবে ‘প্রতারিত হয়ে’ সাইফুল শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সাইফুল ও সুমাইয়া এক ঘরে, আর পাশের ঘরে সাইফুলের শাশুড়ি নাসিমা বেগম, শ্যালিকা শিমু আক্তার ও নানি শাশুড়ি জয়নব বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন। গত শুক্রবার ভোরবেলা ঘুমন্ত সুমাইয়াকে দা দিয়ে কোপাতে থাকেন সাইফুল। সুমাইয়ার আর্তচিৎকার শুনে নাসিমা বেগম ও শিমু আক্তার এগিয়ে গেলে সাইফুল তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন। পরে তাদের আর্তচিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং সাইফুলকে আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
আহতদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুমাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সুমাইয়ার নানী জানান, সুমাইয়ার একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন।
মির্জাপুরের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আইয়ুব খান বলেন, এ ঘটনায় সুমাইয়ার নানি জয়নব বেগম বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে কী কারণে সাইফুল স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে তা এখনো জানা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ