পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেন না তারা ডায়াবেটিস রোগী। কারণ, তাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। যদিও প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৫৪ কোটি ডায়াবেটিস রোগী আছেন। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালে ৬৪ কোটি ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি), বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) আয়োজিত ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলা হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, তা কোটিরও বেশি। কাজেই এটা আশঙ্কাজনক। অল্প বয়সে অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে, আবার ডায়াবেটিস নিয়েও অনেকে জন্মগ্রহণ করছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেটি তেমন ক্ষতিকর না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নীরবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এখন মানুষ অনেক সচেতন। গ্রামে গেলে দেখা যায়, এখন সকালে অনেকেই হাঁটে এবং মিষ্টি খায় না। কিন্তু সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস কেন হয়, এটি যদি মানুষকে আমরা আরও বেশি করে জানাতে পারি, তাহলে মনে হয় আমাদের উপকারে আসবে। আমাদের দেশে কিডনি রোগী বাড়ছে। তার অন্যতম একটি কারণ ডায়াবেটিস। স্থুলতা একটা বড় কারণ। সচেতনতা খুব জরুরি।
এনসিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে জানান, প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে যে কয়জন মানুষ মারা যাচ্ছে, তার মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ পাওয়া যায়। অর্থাৎ নীরব ঘাতক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদেরকে এগুলো স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে আনতে হবে। কিছু মেকানিজম আমাদের তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা ডায়াবেটিস রোগীদের সামলাতে পারি। ১০ শতাংশ রোগী জানেন ডায়াবেটিস কী, কিন্তু চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন না। মাত্র ১৩ শতাংশ রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।
আলোচনায় অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ডায়বেটিস দিবস করা হয়েছে মূলত জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। নিরাময় থেকে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। এরজন্য দরকার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম। প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ জানেন না যে তার ডায়াবেটিস আছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এম এ ফয়েজ, অধ্যাপক ডা. শাহ মুনির হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।