বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাকালীন প্রতিদিন তাদের বিক্রি ছিল এক থেকে দেড় হাজার টাকা। তাদের দেখলেই ক্রেতারা ছুটে আসতেন। এমনও দিন গেছে, প্রচুর ক্রেতা জড়ো হয়েছেন কিন্তু আগেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। বেচা বিক্রি ভালো হওয়ায় অনেকেই তাদের মূল পেশা ছেড়ে এই পেশায় এসেছিলেন।
হ্যা, বলছি মাস্ক বিক্রেতাদের কথা। চরম দুর্দিন চলছে এখন তাদের। দিনে যারা ৩ থেকে ৪ শ পিস মাস্ক অনায়াসে বিক্রি করতেন, এখন সারাদিনে ১০/১৫ টির বেশি বিক্রি করতে পারছেন না। সংসার চালানোই তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
নগরীর ডাকবাংলো এলাকার ভ্রাম্যমান মাস্ক বিক্রেতা হাফিজুর রহমান জানালেন, আগে একটি দোকানে সেলসম্যানের চাকুরী করতেন। করোনায় দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। জমানো কিছু টাকা দিয়ে মাস্ক বিক্রি শুরু করেন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শ পিস মাস্ক বিক্রি করতেন। ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দামের মাস্ক বিক্রি করে দিন শেষে লাভ হতো কমপক্ষে হাজার টাকা। এখন আর কেউ মাস্ক কিনতে চান না। তাই বিক্রিও নেই। তার মত খুলনার ফেরিঘাট, রেল স্টেশন, দৌলতপুরে শতাধিক ব্যক্তি পথে পথে মাস্ক বিক্রি করতেন। বেশ কয়েকজন ছোট দোকান দিয়ে বসেছিলেন। সবাই এখন লোকসানে রয়েছেন।
মাস্ক বিক্রি না হওয়ার কারণ হিসেবে খুলনা ক্ষুদ্র বণিক সমিতির নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনায় করোনা একেবারে কমে গেছে। মানুষের মাঝে তরোনাভীতি কমে গেছে। মাস্ক ব্যবহারে এখন আর আগের মতো কড়াকড়ি নেই। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হয় না। এসব কারণে সাধারণ মানুষ মাস্ক পরে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।