পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত এবং পাচারের পৃথক দু’টি ধারায় তাকে এ কারাদণ্ড দেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রধান বিচারপতি এভাবে দণ্ডিত হলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। সকাল ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক ১৮২ পৃষ্ঠার এই রায় দেন। এর আগে দুই দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আই অ্যাম নট ভেরি হ্যাপি’।
রায় ঘোষণার পর প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা বলেছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রধান বিচারপতি সাজাপ্রাপ্ত হলেন। কারাদণ্ডের ১১ বছরের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে ৪ বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দু’টি ধারার শাস্তি তিনি একই সঙ্গে ভোগ করবেন। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ মামলায় এস কে সিনহা ছাড়া আরো ১০ আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) অন্য মামলায় আগে থেকেই কারাগারে। অন্য আসামিদের মধ্যে ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, জনজিৎ চন্দ্র সাহা, তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে রায়ে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডিত এস কে সিনহা ৪ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে নজিরবিহীন টানাপড়েনের মধ্যে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এস কে সিনহা। আর কখনো কোনো প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ বাংলাদেশ দেখেনি। ওই সময় এস কে সিনহা দাবি করেন তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে ছুটি নিয়ে বিদেশ যেতে বাধ্য করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি তার লেখা এক বইয়ে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
পদত্যাগের চার বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক দু’দিন আগে আত্মসাতের এ মামলায় এস কে সিনহার সাজার রায় হলো। যদিও শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন বিদেশে অবস্থানরত এস কে সিনহা।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দাখিলকৃত চার্জশিটের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট চার্জ গঠন করে আদালত। ওই দিন থেকেই মামলাটির বিচারকার্য শুরু। মামলায় ২১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন সাক্ষ্য দেন। চলতি বছরের ২৪ আগস্ট শেষ হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। এস কে সিনহাকে পলাতক দেখিয়েই মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এজাহারে তার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি এবং ৪ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, মামলায় মোট ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুই আসামি খালাস পেয়েছেন।
সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের যত মামলা : একটি মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে রায় হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের আরেকটি মামলার তদন্ত চলছে। গত বছর ৭ অক্টোবর দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়া ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নিজ নামে রাজউক উত্তরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে প্লটের জন্য আবেদন করান এবং ৩ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কাঠার প্লটকে তিনি ৫ কাঠায় উন্নীত করান। সেটি পূর্বাচল থেকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কের ১/এ প্লটে স্থানান্তর করে রাজউক থেকে অনুমোদন করিয়ে নেন। তিনি নিজেই এই প্লটের জন্য ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা নিজের ভাই ও আত্মীয়দের নামে অবৈধভাবে অর্জন করেছিলেন। অর্জিত অর্থ তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ঘুষ দাবির একটি মামলা ছিল। তবে তদন্তে মামলার অভিযোগের সত্যতা না মেলায় মামলা থেকে এস কে সিনহাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিচারের শীর্ষ পদ থেকে দণ্ডিত এসকে সিনহা :
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এস কে সিনহা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সরকারের সঙ্গে নানা বিতর্কে জড়িয়ে ‘ছুটি’ নিয়ে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া যান এস কে সিনহা। এ সময় বেরিয়ে আসে অন্তরালের অনেক তথ্য। এর মধ্যেই এক শুক্রবারে সিঙ্গাপুর থেকে প্রেসিডেন্ট বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠানোর খবর মিডিয়ায় প্রচার হলে মানুষ তার পদত্যাগের কথা জানতে পারে।
প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েই এস কে সিনহা দেশের বিচারব্যবস্থায় বিচারকার্য পরিচালনায় প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ ও আদালতগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনসহ সবাইকে অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের নির্দেশনা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এক সময় সুপ্রিম কোর্টের কজ লিস্ট (দৈনন্দিন মামলার কার্যতালিকা) কাগজের পরিবর্তে ওয়েবসাইটের আওতায় আনেন। এতে আইনজীবী ছাড়াও মামলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সহজেই তার মামলা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে পারেন। বিপুল অর্থের সাশ্রয় হয়। তিনি সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর ফলে গরিব ও আর্থিকভাবে দুর্বল বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হন। আদালতে মামলার চাপ কমাতেও আইনজীবীদের আহ্বান জানান তিনি।
এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বলেন, অবসরে গেলে কোনো বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। এ কারণে তিনি আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন মানিকের অবসরের পর পেনশন বন্ধ করে দেন, যা নিয়ে এস কে সিনহার সঙ্গে এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মতবিরোধ দেখা দেয়।
২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বারের একটি বইমেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে এস কে সিনহা অভিযোগ করেন, সরকারের নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগ থেকে ক্ষমতা নিয়ে নিতে চাইছে। তার এমন মন্তব্যে সরকার অস্বস্তিতে পড়ে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মীর কাসেম আলীসহ বেশ কিছু মামলার চূড়ান্ত রায় আসে এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ থেকে।
২০১৬ সালে ৭ জুন জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সরকারপক্ষের আইনজীবীদের কার্যক্রমে হতাশা ব্যক্ত করেন এস কে সিনহা। এ সময় প্রসিকিউটরদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিজিএমইএ ভবন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর ছিল এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের প্রশংসীয় রায়। তবে জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে ‘ন্যায়বিচারের প্রতীক’ থেমিসের মূর্তি স্থাপন নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন সিনহা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও আপত্তি তোলেন। এ প্রেক্ষিতে মূর্তিটি অপসারণ করে সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করতে সরকারকে বারবার সময় দেন এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। এ সময় বিচার বিভাগের প্রতি সরকারের মনোভাব নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।
২০১৭ সালের ১৮ মার্চ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এস কে সিনহা বলেন, একটি মহল প্রশাসনকে বিচার বিভাগ সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। এ জন্য বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের ভুল বোঝাবুঝি চলছে।
সর্বশেষ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের ‘কিছু পর্যবেক্ষণ’ নিয়ে এস কে সিনহা বিভিন্ন মহলে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওঠেন। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছর ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়ে যায়। এ নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়। ওই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি তোলেন। ওই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হয়। সংসদে তীব্র সমালোচিত হন সিনহা।
সে বছর ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ গত ৩০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতিদের ডেকে নিয়ে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে লিখিত ‘১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ’ তুলে ধরেন। বঙ্গভবনের ওই বৈঠক থেকে ফিরে পরদিন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সিনিয়র বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি ইমান আলী নিজেরা বৈঠক করে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী তারা প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের সরকারি বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে কথা বললে বিচারপতি সিনহা ‘দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনের’ ওই অভিযোগগুলোর ‘গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা’ দিতে পারেননি বলে পরবর্তীতে বিবৃতিতে বলা হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর ছুটিতে যাওয়ার আবেদন করেন বিচারপতি সিনহা। পরে আরেক আবেদনে ছুটির সময় বাড়িয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সৃষ্ট ধূম্রজালের মধ্যে প্রধান বিচারপতির খোঁজ নিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তার বাসায় যেতে চান বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। তবে পুলিশ তাদের গাড়ি পথেই আটকে দেয়। ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যান প্রধান বিচারপতি সিনহা। এ সময় তার স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হলেও পরবর্তীতে তিনিও বিদেশ যান। তার আগে এস কে সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত, শঙ্কিত। ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর সিঙ্গাপুর দূতাবাসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান এস কে সিনহা। ঘটনাবহুল ওই সময় থেকেই এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। এর একটি অভিযোগ ছিল ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে মামলা করে দুদক। সেই দু’টি মামলার রায়ে তার ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।