পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্ত সামান্য ওঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯০৪ জনের। এ সমযে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২০৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৪ জনে। মৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৫৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯০ জন। সারাদেশে সরকারি- বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৬৩০টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার ৯৪২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে একজন ও চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন রয়েছেন। মৃত ৩ জন সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন ও ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ২৯০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী ছিল। অক্টোবরেও তা অব্যাহত রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে। যেকোনো সময় করোনা আবার জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।