Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়কের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

কর্তফুলী নদীর তলদেশে দুইটি টিউব স্থাপনের কাজ শেষে এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। একই সাথে ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেল খোলে দেয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই টানেলের সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন টানেল কর্তৃপক্ষ। এখন পুরোদমে চলছে দুই প্রান্তের এ্যাপ্রোচ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ। একই সাথে চলছে ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় লেনের ১১ কিলোমিটারের সংযোগ সড়কের কাজ।
টানেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, টানেলের দুই প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে আনোয়ারা প্রান্তে এপেপ্রাচ সড়ক রয়েছে চার কিলোমিটার। ফ্লাইওভার রয়েছে ৭০০ মিটার। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার পর এখন এ্যাপ্রোচ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। চার লেনের ২২.৪০ মিটার প্রস্ত এই এ্যাপ্রোচ সড়কের দুই তিন স্তরের মেকাডমের কাজ শেষে মূল বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা। সরেজমিনে টানেল এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত ৪ কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ সড়কে রাত-দিন চলছে কার্পেটিং কাজ। সড়কে ৩ টি আন্ডরপাশের কাজও শেষের পথে। কালভার্টের কাজ ও পূর্ব প্রান্তে টানেলের মুখ থেকে প্রায় ৭০০ মিটার ফ্লাইওভারের কাজ আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিএবি সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবির দীঘির মোড় পর্যন্ত ৮.১ কিলোমিটার ছয় লেন এবং কালাবিবির দিঘি থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বরাদ্ধের মূল সড়কে ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ক্ষতিপূরণে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এনডিএ এ কাজ করছে। প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কের ৮ কিলোমিটারে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬টি কালভার্ট নির্মাণের কাজও চলছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের আগেই ছয় লেন সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার পর টানেল দিয়ে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ যানবাহন চলাচল করবে। এত বেশি যানবাহনের চাপ সামাল দিতেই টানেলকে ঘিরে আনোয়ারায় গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ জানান, টানেলের প্রথম ও দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের ভেতর থেকে বোরিং মেশিনটা বের করতে সময় লাগবে চার মাস। এখন আনোয়ারা প্রান্তে এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, প্রায় ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের আগেই শেষ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ