Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লোহাগাড়ায় ধষর্ণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতা

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের দক্ষিণ পানত্রিশ এলাকার ভ্রমণপাড়ার শফিকুর রহমানের ছেলে ও এক সন্তানের জনক। গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় ভুক্তভোগীর মা অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে বিবাদী করে লোহাগাড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের ২ ঘণ্টার মধ্যেই লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসাইন মাহমুদের নেতৃত্বে এসআই মুহাম্মদ রেজুওয়ানুল ইসলাম ও এসআই শিশির বিন্দুসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুনতির দক্ষিণ পানত্রিশা তার বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ৩ নভেম্বর বিকালে প্রতিদিনের ন্যায় মেয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে খেলতে যায়। অভিযুক্তের বোনের সাথে খেলার একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম ভুক্তভোগীকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার শয়নকক্ষে ডেকে নেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিবাদী বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়। গত ৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে চাইলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় গত ৭ নভেম্বর সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ভুক্তভোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসাইন মাহমুদ জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে।
তাকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ