Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য

ডোমার-ডিমলা বেহাল সড়ক চরম জনদুর্ভোগ

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা সড়কের বোড়াগাড়ি বাজার থেকে পাঙ্গা চৌপথী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও-এর চেয়েও বেশি গর্ত রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ডোমারবাসীকে।
চলাচলারের একবারে অযোগ্য এই ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ডোমার থানা, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিসসহ সকল গুরুত্বপর্ণূ স্থাপনা ও কার্যালয় রয়েছে। উপজেলা পরিষদ যাওয়ারও এ সড়কটিই একমাত্র অবলম্বন। ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কটিতে হরহামেশায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এজন্য ভূক্তভোগী ডোমারবাসী বলছে ডোমারের প্রধান সমস্যা এখন প্রধান সড়কটি।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ পথের যাত্রী ও চালকরা। তবে সড়কটি সম্প্রসারনসহ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা সড়কের বোড়াগাড়ি বাজার থেকে পাঙ্গা চৌপথী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন অংশে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক সংস্কারের জন্য একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন এতে প্রায়ই ঘটছে দুঘর্টনা নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথের চলাচলকারীরা। বাংলাবান্ধা হতে প্রতিদিন ১০ চাকার পাথর ও বালু বোঝাই প্রচুর ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির এ দুর্দশা বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে কিছু নিম্নমানের ইট ও বালু ফেলে সংস্কারের চেষ্টা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১০ চাকার ট্রাকের ভারে ইটগুলো পিষে কাদায় পরিণত হয় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।
এই সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী মো. শাহ আলম সোহেল জানান, ডোমার-নীলফামারী সড়কের বর্তমান যে অবস্থা তাতে চলাচল করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সড়কের দুদিকে খনন করায় প্রায় প্রতিদিনেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাস চালক আব্দুল গাফফার জানান, এক বছর ধরে সড়কের দুই পাশে এমনভাবে খনন করে রাখা হয়েছে তাতে চলাচলে খুবেই সমস্যা হচ্ছে। সাইড দিতে গিয়ে প্রায় সময়েই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়াও আমাদের গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে প্রায়ই এই সড়কে চলতে গিয়ে চাকা ফেটে যায়।
ডোমারবাসী আশিফ ইকবাল ও আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটির সংস্কার নিয়ে ডোমারবাসী আন্দোলন করলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ হতে তাদের আশ্বস্ত করে যে, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে পথচারী ও যান চালকেরা নীলফামারী-ডোমার সড়কের এই বেহাল দশা ও জনসাধারনের চরম দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত সড়কটিকে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর জানান, রাস্তা এ সড়ক সংস্কারে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনদুর্ভোগ কমাতে এ সড়ক সংস্কারের দ্রুত সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ