Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩০ পিএম

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে আবারও সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নদীর স্রোত কমে এসেছে। তাই ফেরি চলাচলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হালকা যানবাহন নিয়ে ৪টি ফেরি চলবে।
ফেরি গুলো হলো কুঞ্জলতা, কদম, বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামাল। বর্তমানে শুধু ছোট হালকা যান ফেরিতে পার করা হবে। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসসহ তিন টনের নিচের ট্রাকগুলো ফেরিতে পার হবে। পর্যায়ক্রমে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এরআগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে পরিদর্শক দল ও ১৯টি হালকা যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজারের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায় পরিক্ষামূলক ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল।
১১ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটে পৌছে সেখান থেকে ১৫টি যানবাহন নিয়ে বেলা ১টার দিকে আবারো শিমুলিয়াঘাটে ফিরে আসে।
পরিক্ষামূলক ফেরিটি সফল ভাবে চলাচল করার পর হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলা ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় যৌথ পরিদর্শক দল।
উল্লেখ্য ১১ অক্টোবর থেকে পদ্মার স্রোতের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিসি। ৪ দিনের মাথায় ১৪ অক্টোবর একটি ফেরি ও ১৪ দিনের মাথায় একটি ফেরি পরীক্ষা মূলক চলাচল করলেও স্রোত না কমার কারণে বন্ধই থেকে যায়। এর আগে প্রচণ্ড স্রোতে পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ধাক্কার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘ ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর সীমিত ভাবে ফেরি সচল থাকলেও মাত্র ৭ দিন পর একই কারণে ১১ অক্টোবর আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিসি। ফেরি বন্ধ হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোয়াতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ