করোনাভাইরাসে একদিনের মৃতের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যু ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৯৫ জন। তবে এর আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয়েছিল মাত্র এক জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৭৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১৩ জন। মৃত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯০ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৯০৬টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি চার লাখ ৭৩ হাজার ৬০০টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন। মৃত ৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে একজন মারা যান। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ৪৯৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। তবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা কমে এসেছে।