Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক দখল করে অটোস্ট্যান্ড

ঝিনাইগাতীতে চরম জনভোগান্তি

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরজুড়ে প্রধান সড়ক দখল করে চলছে অটোরিকশা স্ট্যান্ড। বিশেষ করে শহরের কলেজ রোড চৌরাস্তা, ধানহাটি মোড়সহ প্রধান সড়কজুড়ে অটোরিকশা দাঁড়ানো থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে গাড়ি চলাচলে সৃষ্টি হয় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা। সড়কের এক পাশে সিএনজি অটোরিকশা এবং অন্য পাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দখলে থাকায় সাধারণ মানুষকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের গোটা প্রধান সড়কই এখন অটোরিকশা ও সিএনজির দখলে। সবত্র দোকানপাটের সম্মুখে অটোরিকশার-সিএনজির জটলা। রাস্তা পাড়াপাড় অথবা দোকানে প্রবেশ করা অনেক কঠিন। কোন প্রকার ট্রেনিং ছাড়াই দিনমজুর থেকে শুরু করে কোমলমতি ছেলেদের হাতে স্টিয়ারিং। দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। নেই কোন প্রতিকার। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজরোড, মেইনরোড, মসজিদ রোড এই চার রাস্তার মোড় ছাড়াও ধানহাটি মোড়ে এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জটলায় জন সাধারণের যাতায়াতে সীমাহীন দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা দখল করে সারি সারি অটোরিকশা। প্রধান সড়কের দু’পাশে এভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় চলাচলের জায়গা নেই বললেই চলে।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ রেজাউর রহমান মাস্টার ও জুয়েলারি ব্যবসায়ী মো. সরোয়ারর্দী দুদু মণ্ডল বলেন, বাজার করতে বা ওষুধ কিনতে আসলে বিরক্তির শেষ থাকে না। প্রধান সড়ক দখল করে অটোরিকশা চালকরা স্ট্যান্ড বানিয়েছে। গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। যানজট লেগেই থাকে, কোন প্রকার ট্রেনিং না থাকায় কখন কার ওপর উঠিয়ে দেয় তা বলা মুশকিল। তাই অটোরিকশা স্ট্যান্ড প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে অন্য ফাঁকা জায়গায় করলে ভালো হতো। কিন্তুু কে শুনে কার কথা? ট্রাক ও বাস চালকরা বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক দখলের কারণে গাড়ি চলাচলের জায়গা থাকে না বললেই চলে। সব সময় রাস্তার ওপরে অটোরিকশা রাখা হয়। বড় যে কোনো গাড়ি বের করতেও পারি না। এ যেন এক নৈরাজ্যকর অবস্থা। আবার কোনো গাড়ির সঙ্গে লেগে গেলে ব্রিবতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, অটোরিকশা দাঁড় করানোর মতো কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কখনো রাস্তার পাশে, কখনো বা রাস্তার ওপরই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। তা না হলে যাত্রী পাওয়া যায় না। প্রশাসন আমাদের জায়গা দিক, সেখানে চলে যাব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা খুঁজা হচ্ছে। উপযুক্ত জায়গা পেলে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ